বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্ভাব্য খাদ্য ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার কৃষিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষিতে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্যাংকগুলোও। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কৃষিঋণ বিতরণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) কৃষি ও পল্লিঋণ খাতে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ১০ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, তবে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিতরণ করে। চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। এই পাঁচ মাসে রাষ্ট্র মালিকানার ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ৫৯ কোটি বা লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশ বিতরণ করেছে। আর বিদেশি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৭ হাজার ৭১৮ কোটি বা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। আলোচিত সময়ে এ খাতে ঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটি প্রথম পাঁচ মাসে ঋণ বিতরণ করেছে ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা। যা তাদের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ঋণ বিতরণ করেছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক। তাদের বিতরণ করা ঋণ মাত্র ২৩ লাখ টাকা। একই সময়ে কোনো ঋণ বিতরণ করেনি বিদেশি কমার্শিয়াল ব্যাংক অব শিলন এবং উরি ব্যাংক লিমিটেড।
দেশে ব্যাংক খাতে কৃষিঋণের স্থিতি বা পরিমাণ ৫০ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক শূন্য ২৪ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।