Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল দিয়ে চলতি অর্থ বছরে ৮ হাজার ৩৫৯ টন পণ্য বেশি আমদানি

| প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আট হাজার ৩৫৯ দশমিক ৬ মেট্রিক টন পণ্য বেশি আমদানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আমদানি হয়েছিল ৪ লাখ দশ হাজার ২৪৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন পণ্য। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আমদানি হয়েছে চার লাখ ১৮ হাজার ৬০২ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন।
এ সময় রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৫০০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৩৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ৫৩ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন পণ্য, আগস্টে ৭৬ হাজার ৮৩২ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫৫ হাজার ৩৫৩ দশমিক ১২ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৭০ দশমিক ৬৬ মেট্রিক টন এবং নভেম্বর মাসে ৯৫ হাজার ৭৮ দশমিক ৪৯ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘আমদানিকারকরা কমপক্ষে দুই মাস আগে পণ্য আমদানির এলসি খুলে থাকেন। যে কারণে গত মাসে এলসি পণ্য তারা আনতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জোর করে আমদানি পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে চলেছেন। এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তাদের অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। যে কারণে পরবর্তীতে এলসি দিতে পারছেন না। যার প্রভাব আগামীতে পড়বে।’
তিনি বলেন, হয়রানি বন্ধ, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবিকৃত ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে আমদানি-রফতানি আরো বাড়বে।’
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বন্রদ সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরের অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। আমদানিকারকরা বন্দর থেকে সময়মতো তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে পণ্যজট।
বন্দরের গুদাম থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য ঢোকাতে হচ্ছে। জায়গার এ সঙ্কটের কারণে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকছে দিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর ও খালাসের অনুমতি মিললেও ক্রেন মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সংকটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বন্দর ব্যবহারকারীদের মেশিনারিসহ ভারী মালামাল লোড-আনলোডের সময় দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকতে হয় সিরিয়াল দিয়ে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো: শওকাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি বেড়েছে। যে কারণে রাজস্ব আদায় বাড়ছে। তাছাড়া আমদানি বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে তারা হয়রানি ছাড়া পণ্য আনতে পারেন। বেনাপোলকে আরো গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা একযোগে কাজ করছি।’
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি বেশি করে থাকেন। কেননা এ সময় ব্যবসার জন্য ভালো সময়। বিশেষ করে গাড়ি আমদানি বেশি হয়ে থাকে।’ কাস্টমস জোর করে মূল্য বাড়ানোর কারণে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ