কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলছে। কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পর মুরাদনগরে এধরণের হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজন আহত হয়েছে বলে উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। এর আগের হামলার চেয়ে সোমবার দুপুরে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারন সম্পাদক হেদায়েত হোসেনের ওপর যে ধরণের হামলা হয়েছে তা নজিরবিহীন। উপজেলা বিএনপির অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন হেদায়েতের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। কেবল তাই নয়, তার শরীরের কোমরের উপরিঅংশে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আহত হেদায়েত হোসেন জানান, তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা উত্তর জেলার সহ-সাধারন সম্পাদক। মুরাদনগর থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক কুমিল্লার গণসমাবেশে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের টার্গেট করে তারা হামলা চালাচ্ছে। গণসমাবেশের পর থেকে এপর্যন্ত বিএনপির প্রায় সাতজন নেতা-কর্মী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে।

আহত হেদায়েত হোসেন বলেন, তাদের হামলার টার্গেট থেকে তিনিও রেহাই পাননি। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর রোডের জনতা বেকারির সামনে পেয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামিম ও বাদশার নেতৃত্বে আলী ইমাম, বাবু, রাব্বি, আবু কালাম, আরমান, সাইমন,নাহিদুল ইসলাম মিয়াসহ ১০-১২ জন মিলে রাম দা, গ্যাসের পাইপ, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে পেটায়। একপর্যায়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে দিয়ে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।