বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রথমে নবনির্মিত এই সঞ্চালন লাইনটির প্রথম সার্কিট এবং পরে দ্বিতীয় সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু করা হয়। বর্তমানে ঢাকার উপকণ্ঠে আমিনবাজার গ্রিড উপকেন্দ্রে এই লাইনের মাধ্যমে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট লোড সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে লোড বৃদ্ধি করা হবে বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি জানায়।
গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গোপালগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ৪০০ কেভি ভোল্টেজ দিয়ে লাইনটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। চালুর পর থেকে লাইনটি বিদ্যুতায়িত রয়েছে। সফলতার ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হলো।
পিজিসিবির উপ ব্যবস্থাপক এ বি এম বদরুদ্দোজা খান জানান, লাইনটি আমিনবাজার থেকে মাওয়া ও গোপালগঞ্জ হয়ে মোংলা পর্যন্ত বিস্তৃত। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হাব থেকে মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা নদী ক্রস করে আমিনবাজার অভিমুখে নির্মিত লাইনটি চালু এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ায় বৃহত্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সাথে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের সংযোগ শক্তিশালী হয়েছে। লাইনটি পিজিসিবি’র অন্যান্য সঞ্চালন লাইনের মতোই ব্যাক টু ব্যাক পদ্ধতির। অর্থাৎ উভয়দিক থেকে চাহিদা ও প্রয়োজনের নিরিখে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এর ফলে চাহিদা থাকলে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে। এমনকি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্ণ ক্ষমতায় চালু হলে এই লাইনের মাধ্যমে এখন পুরো বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করা যাবে।
পিজিসিবি জানায়, গোপালগঞ্জ থেকে আমিনবাজার গ্রিড সাবস্টেশন পর্যন্ত লাইনটির দৈর্ঘ্য ৮২ দশমিক ৫ কিলোমিটার; যার মধ্যে পদ্মা নদীতে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রিভারক্রসিং রয়েছে। গোপালগঞ্জ থেকে আমিনবাজার লাইনটিতে মোট ২২৬টি টাওয়ার রয়েছে। তারমধ্যে খরস্রোতা পদ্মা পাড়ির জন্য নদীতে এবং নদীর দুই প্রান্ত মিলে মোট ১১টি সুউচ্চ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।