Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুতুবদিয়ায় ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক নির্মিত ১টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর

বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম-২য় এর আওতায়

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩১ পিএম

১৮ ডিসেম্বর (রবিবার) এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম ২য় এর আওতায় (প্রাক্তন ফায়েল খায়ের প্রোগ্রাম) ১টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর করা হয়েছে। সৌদি আরবের মরহুম বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ) এই সকল শেল্টার নির্মাণের অর্থ অনুদান করেগেছেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গা।


এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শাখা-২ এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব, সেলিনা কাজী।

বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক কর্মসূচী সমন্বয় অফিসের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর, মোঃ আরিফ শহিদ।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, মোহাম্মাদ রেজাউল করিম। সংশিষ্ট অধিদপ্তর এবং বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের সমন্বয়ক পল নরম্যান বার্ড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধায়ন পরামর্শকগন।

অনুষ্ঠানে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গার নিকট স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টারটি হস্তান্তর করা হয় এবং সংশিষ্ট স্কুল কমিটির প্রতিনিধির কাছে চাবি তুলে দেয়া হয়।

প্রকল্প ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের স্থানীয় উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে আয়োজনকে সফল করে তুলেন।

ইত পূর্বে এই কর্মসূচির ১ম পর্বে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোট ১৭২টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কর্মসূচির ২য় পর্বের অধীনে মোট ১৩টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে ১টি এই অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে,এই ভবন হস্তান্তর কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয় এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়। এই প্রোগ্রামের প্রতিটি আধুনিক স্থাপনা ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানে সহায়ক হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ২০০০ (দুই হাজার) মানুষ এবং ৫০০ গবাদি পশু একেকটি ভবনে আশ্রয় নিতে পারবে যা বাংলাদেশের জন্য প্রায়শই অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

উল্ল্যেখ্য, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১৩০ মিলিয়ন (১০ কোটি) মার্কিন ডলার দান করার সময় বাদশা আবদুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরোধ করেছিলেন যেন তাঁর নাম প্রকাশ করা না হয়। এই অনুদানের দুটি অংশের মধ্যে রয়েছে (i) ১১০ মিলিয়ন (১১ কোটি) মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ। আর (ii) ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) মার্কিন ডলার ওয়াকফ্ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের কৃষিসহ অন্যান্য উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করা।

স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার ভবন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা প্রতিঘন্টায় ২৬০ কিঃমিঃ বেগ পর্যন্ত বায়ুপ্রবাহ (ঘূর্ণিঝড়) প্রতিরোধে সক্ষম। ভবনগুলোতে পরিবেশবান্ধব ডিজাইন, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বীকন লাইট, উন্নতমানের আসবাবপত্র ইত্যাদি সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এতে সুপেয় পানি সরবরাহ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা এই উপকূলীয় অঞ্চলে, দুর্যোগের সময় পানির অভাব অনেকটাই পূরণ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ