Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ

দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন দাউদকান্দির মাছ চাষিরা

সেলিম আহমেদ, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছে চাষিরা। এলাকায় মাছের চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে স্থানীয় বেকার যুবক ও ভূমিহীন মৎস্যজীবীরা এই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মাছ চাষ করেছেন মো. হানিফ তালুকদার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দখারকান্দি, গোয়ালমারী, চেঙ্গাকান্দি, ফতেরকান্দি গ্রামের মৎস্যজীবীদেরকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে ২০ জন করে দল গঠন করে দেয়া হয়। ২০ জন চাষিদের নিয়ে ১০টি খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ১টি দল গঠন করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। ওইসব খাঁচাতে ‘মনোসেক্স’ জাতের তেলাপিয়া মাছের পোনা, পাঙ্গাস, গ্লাসকাপ মাছ ছাড়া হয়। পরবর্তী সময়ে খাঁচায় নদীতে মাছ চাষের নতুন পদ্ধতি লাভবান হয়ে তারা ব্যাক্তিগতভাবে খাচার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাদের দেখাদেখী বেকার যুবকরা নিজস্ব উদ্যোগে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করতে শুরু করে। পোনা ছাড়ার দুই-তিন মাস পর মাছের ওজন ও মাছে কোনো রোগ-বালাই দেখা না দেয়ায় প্রতিটি খাঁচায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশা করছে চাষিরা। দাউদকান্দিতে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন উপজেলার সৈয়দখারকান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মো. হানিফ তালুকদার। তিনি জানান, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়ি, কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে যাই পরামর্শের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ২০ জনের একটি দল গঠন করার পরামর্শ দেন। দল গঠন করার পর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর প্রথমে ১০টি খাঁচা তৈরি ও মাছের পোনা ছাড়ার জন্য দুই লাখ টাকা সরকারি অনুদানও দেয়া হয়। অনুদানের টাকায় ড্রাম, নেট ও বাঁশ দিয়ে সৈয়দখারকান্দিতে ধনাগোধা নদের ওপর ১০টি খাঁচা তৈরি করি। মাষ চাষে সফলতা দেখে পরবর্তীতে আরো ১০টি খাঁচা দেয়া হলে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ২০টি খাঁচা তৈরি করে মোট ৪০টি খাঁচায় এখন মাছ চাষ করছি। ১মাস পড় মাছ বিক্রি করবো। ৪০টি খাচায় আমার প্রায় মাছ, খাবার ও অন্যান্য ব্যায় হিসেবে ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশাবাদী মাছ বিক্রির পর ভালো মুনাফা অর্জন হবে। বাজারে এই মাছের অনেক চাহিদা। হানিফ তালুকদার আরো বলেন, ‘স্বল্প পুঁজি নিয়েই এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। ২০ বাই ১০ ফিটের প্রতিটি খাঁচা তৈরি করতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর টাকা খরচ হবে মাছের পোনা ও মাছের খাবার বাবদ। এর জন্য নিজস্ব কোনো জলাভূমির প্রয়োজন নেই। যে কেউ এই পদ্ধতি নদীতে মাছ চাষ করতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ