বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে অধুনালুপ্ত টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ৫শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী আবার গত ৪ মাস ধরে অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে জীবন সায়হ্নে এসে অবসরপ্রাপ্ত এসব সরকারি কর্মী অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সময় মতো অবসর ভাতা না পাওয়ায় এসব সরকারি কর্মীর পরিবারে উৎসরে আনন্দ দুরের কথা, সংসারের চাকাই অচল হয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই নীরব হাহাকার চলছে। বিগত দুটি ঈদের সময়ও এসব পরিবারে কোনো আনন্দের ছোয়া লাগেনি।
অন্যসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সাবেক টিএন্ডটি বোর্ড ও বর্তমান বিটিসিএল থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাপ্য অবসর ভাতা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পেয়ে আসছিলেন। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জেলা এবং বিভাগীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগের অফিস থেকে অবসর ভাতা মাসের শেষে ব্যাংক হিসেবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু এখন বছরের বেশিরভাগ সময়ই মাসের পর মাস ধরে অবসরপ্রাপ্ত এসব সরকারি কর্মীর হিসেবে তাদের ন্যায্য পাওনা জমা হচ্ছে না।
বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন জেলার হিসাব কর্মকর্তাগণ জানায়, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিটিসিএল থেকে সরকারি হিসাব বিভাগে তহবিল স্থানন্তরের পরেই এসব পেনসন ভোগীদের অবসর ভাতা তাদের ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হয়। তবে সরকারি তহবিলের সংস্থান না হওয়ায় বিটিসিএল থেকে হিসাব বিভাগে কোনো অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না। ফলে এসব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের ভাতা প্রদান প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছে বলেও জানান বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি সূত্রের মতে, টিএন্ডটি বোর্ডে চাকরি করে অবসর গ্রহণকারী এসব সরকারি কর্মীগণ কোম্পানী গঠনের পরে বিটিসিএল-এর উচ্চ পর্যায়ের অবহেলার শিকার। তাদের অবসর ভাতা কোম্পানীর তহবিল থেকেও দেয়া হচ্ছে না। আবার সরকারও এ কোম্পানীর বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। অথচ টিএন্ডটি বোর্ড থেকে অবসর নেয়া কর্মীগণ সরকারি চাকরিই করতেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলেও মনে করছেন সরকারি হিসাব বিভাগসহ অধুনালুপ্ত টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ভুক্তভোগী কর্মীগণ।
এদিকে একাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস অবসর ভাতা না পেয়ে অনেকটাই মানবিক বিপর্যয়ের কবলে। অর্থের অভাবে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেকেরই চিকিৎসা পর্যন্ত বন্ধের পথে। অনেক কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত দিতে পারছেন না। অনেকে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ির মালিকের গঞ্জনা সহ্য করছেন বলেও জানিয়েছেন। অনেক পরিবারেরই নিয়মিত ভরন পোষণ পর্যন্ত বন্ধের পথে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।