বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ৩ জানুয়ারি অংশীদারদের নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে যাচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউনাইটেড এয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর এ তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের একমাত্র উড়োজাহাজ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ার। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে তাদের শেয়ারদর নামতে নামতে ২ টাকার নিচে নেমে আসে। বিএসইসি মূল মার্কেট থেকে কোম্পানিটিকে স্থানান্তর করে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে। সেখানে শেয়ার লেনদেন জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে লেনদেনও হচ্ছে না। এতে ৭২ কোটি শেয়ারের মালিকদের টাকা কার্যত শূন্য হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের প্রধান তাসবিরুল আলম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয় কাজী ওয়াহিদুল আলমকে। ২০১৬ সালের পর কোম্পানিটির কোনো এজিএমই আর হয়নি।
ইউনাইটেড এয়ারের নতুন পরিচালনা পরিষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে এজিএমের নোটিশ আমরা দিয়েছি। আগামী ৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় মুলতবি থাকা এজিএমগুলো হবে। আমরা এরই মধ্যে পুরাতন নথি সংগ্রহ করে হিসাব-নিকাশ আপডেট করেছি। পরিষদ পুনর্গঠনের পর থেকেই নতুন পরিচালনা পরিষদ এয়ারলাইনসটিকে ফের সচল করার চেষ্টা করছেন, তবে ইউনাইটেড এয়ারের কাছে সরকারের পাওনা প্রায় চার শ’ কোটি টাকা কীভাবে পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি বেসরকারি এয়ারলাইনসটি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইউনাইটেড এয়ারের কাছে তাদের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৫৮ কোটি টাকা হলো মূল বকেয়া, বাকিটা সারচার্জ বা পুঞ্জিভূত বকেয়া। বেবিচকের সারচার্জ বা পুঞ্জিভূত বকেয়া মওকুফের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে ইউনাইটেড। পরে তা নাকচ করে দেয়া হয়। পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাইলে তিনি সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেন।
২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ইউনাইটেড এয়ারের বহরে ছিল ১০টি উড়োজাহাজ। এগুলোর মধ্যে ৮টি বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বাকিগুলোর একটি ভারতে, আরেকটি পাকিস্তানে। পরিষদ পুনর্গঠনের পর উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে কি না, তা দেখতে একটি কারিগরি মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়ন শেষে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজগুলো মেরামত করে চালানো আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।