Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাওলানা ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২১ পিএম

মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি, রাজশাহী এর উদ্যোগে শনিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উদযাপন কমিটির আহবায়ক, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। মূখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান এর শিক্ষক ড. তারেক ফজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন: ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী। অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং ড্যাবের রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. মো.ওয়াসিম হোসেন, রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ টি জাহেদী, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক এডভোকেট মো. এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শত নাগরিক রাজশাহীর সদস্য সচিব প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাজশাহী বারের সাবেক সহসভাপতি এডভোকেট অসিত কুমার সার্ন্যাল, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা এডভোকেট এমদাদুল হক বাবু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা এডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বাসদ নেতা শামসুল আরেফীন ডন, গণফোরাম নেতা এম আর মামুন, অধ্যাপক ওয়াহিদুল ইসলাম, রাবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামমুদ্দীন চৌধুরী সানিন, রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা শাহরিয়ার, ছাত্র ফেডারেশন নেতা নাদিম, কিশোর বক্তা আলভান তাহের জাহেদী প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন এডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা।
সভায় বক্তাগণ বলেন, মাওলানা ভাসানী আজীবন এদেশের গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। আজও তিনি মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষের মাঝে তাঁর আশ্চর্য্যজনক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যার ফলে আজও তিনি ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এদেশের জনগণের কাছে পরিগণিত হয়ে আছেন। আমাদের স্বাধীনতার দাবী তিনিই সর্বাগ্রে তুলে ধরেন। নতুন প্রজন্মর মাঝে মাওলানা ভাসানীর আদর্শ যথাযথভাবে তুলে ধরার গুরুত্ব আরোপ করে বক্তাগণ বলেন: এদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে সবচে উজ্জল নক্ষত্র হলো ভাসানী। তাঁর সম্পর্কে তাই জানতে হবে, এর বিকল্প নেই। মাওলানার ‘রব্বানিয়্যাত’ বা ‘পালনবাদ’ এক যুগান্তকারী চিন্তাচেতনার প্রতিফলন। এ চেতনা লালন করতে পারলেই কেবল সত্যিকার ইনসাফ কায়েম হতে পারে। এর মাধ্যমেই সকল মানুষকে সমান চোখে দেখা সম্ভব। ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে যে কৃপণতা করা হচ্ছে তাতে বক্তাগণ হতাশা প্রকাশ করেন ও নিন্দা জানান। মাওলানা ভাসানীর নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্ব স্থাপনার নামকরণের জন্য সভা থেকে দাবী জানানো হয়। অনুষ্ঠানে হাসনাত বেগ রচিত ‘মাওলানা ভাসানী সারসংক্ষেপ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ