Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল অর্থনীতি মুক্তি,ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য আজ তা অর্জন করতে পেরেছি- রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা

মোংলা উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:০৩ পিএম

 মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা মোংলা বন্দরের উপর বিশেষ সুদৃষ্টি রেখেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে দেশ, শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং সেই একই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের সু বাতাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোংলা বন্দর। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে বন্দর উন্নয়নে সকলকে কাজ করতে হবে।”যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের আজ সম্বধনা দিতে পেরে নিজেকে গর্ভিত মনে করছি। দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল অর্থনীতি মুক্তি,ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য । বাংলাদেশ আজ এই সব অর্জন করতে পেরেছে।মোংলা বন্দর তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। মোংলা বন্দর স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে আজ নতুন নতুন রেকর্ড করছে আমদানী-রপ্তানীতে । মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্ভোধনা অনুষ্টানে তিনি এ কথা বলেন । শুক্রবার সকাল ১০ টায় বন্দর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দরের উদ্ধোর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মোংলা উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার,উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপংকর দাশ।

বিকেলে মহান বিজয় দিবসে মোংলায় কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ উম্মুক্ত রাখা হয়। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিগরাজে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের জেটিতে বিসিজিএস কামরুজ্জামান সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। এছাড়া দিগরাজ নৌঘাঁটির জেটিতে বিএনএস করতোয়া একই সময়ে উম্মুক্ত রাখেন নৌবাহিনী।
কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ দুইটি পরিদর্শনে মোংলাসহ আশেপাশের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশুদের সমাগম ঘটে। এ সময় দর্শনার্থীরা যুদ্ধ জাহাজ ঘুরে দেখার পাশাপাশি জাহাজের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। এছাড়াও এ যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কে মানুষের কৌতুহল ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনীর দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এ ধরণের জাহাজের গভীর সমুদ্রে গমন, উপকূলীয় অঞ্চলে টহল, উদ্ধার, অনুসন্ধান কর্মকান্ড, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরে সকলেই খুশি মনে বাড়ীতে ফিরেন। এতে উৎসুক জনসাধারণের মাঝে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সম্পর্কে ইতিবাচক দিক প্রকাশ পায় বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ