Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইগাতী বিটিসিএল অফিস যেন ময়লার ভাগাড়

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিটিসিএল (টেলিফোন একচেঞ্জ)’র জায়গা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় ও পয়:নিস্কাশনের যায়গায় পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও জনবল সঙ্কটে এ অবস্থা বলে এলাকাবসী মণে করছেন। এছাড়াও বিটিসিএল একচেঞ্জের ম্যাপভূক্ত জায়গা ও রাস্তাও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ম্যাপঅনুযায়ী প্রবেশপথে জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘর উত্তোলন করে জবর-দখল করেছে। এক্সচেঞ্জে একজন লাইনম্যান রয়েছেন। কালে-ভদ্রে খোলা হয় অফিস। জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন কাজকর্ম নেই তাই অফিস খোলা হয় কমই।
জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে সরকারি বার্তা আদান-প্রদানে এ স্থানে একটি শক্তিশালী ওয়ার্লেস অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। ওয়ার্লেসের মাধ্যমেই সীমান্ত অঞ্চলের বার্তা আদান-প্রদান হতো। স্বাধীনতার পর সেখানে সরকারীভাবে টেলিফোন একচেনঞ্জ স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে মাবাইল ফোনের কল্যাণে টেলিফোন একচেঞ্জটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে একচেঞ্জের মাধ্যমে এ অঞ্চলে লেন্ড ফোনের ব্যবহার শুরু হলেও আর আগের জৌলুস নেই। অথচ টেলিফোন একচেঞ্জ চালু থাকাকালীন সময় অফিসের জায়গা নির্ধারণে খুঁটি ও কাঁটা তারে ঘেরা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এনালগ সিস্টেমের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর পর অফিসের কদর কমে যায়। কর্তৃপক্ষের নজরদারি এবং জনবল কমিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে এলাকার শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ রেজায়ুর রহমান, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার ও সরায়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, অফিস রক্ষায় বাউন্ডারী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অফিসের সীমানা নিশ্চি‎হ্ন হয়ে জমিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। অফিসের বাউন্ডারী না থাকায় সীমানা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। একচেঞ্জ অফিসটি সংরক্ষিত রাখার কথা থাকলেও অরক্ষিত ও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অরক্ষিত থাকায় অফিসের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা ও পয়:নিস্কাশনের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে অফিসের সুষ্টু পরিবেশের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও চরম উদসীনতায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ যেমন বেহাত হয়ে গেছে বা যাচ্ছে তেমনই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জনমনে দেখা দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। এ অবস্থায় সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাদৎ হোসেন বলেন, এ অবস্থা খুবই দুঃখজনক, এর সমাধানে চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ