বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফের অসন্তোষ-ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সিলেটের চা বাগানে। বর্ধিত মজুরির বকেয়া টাকার জন্য মালিকপক্ষের কাছ বার বার ধরনা দিয়ে না পাওয়া এ ক্ষোভে ক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে চা শ্রমিকরা এ বকেয়া টাকা প্রদানের দাবিতে মিছিল ও সভা করছেন। শীঘ্রই তাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
চা সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুই বছর পরপর চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা-সংসদের সঙ্গে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের আলোচনা হয়। এতে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কোনো কারণে এই চুক্তি নির্ধারিত সময়ের পরে হলে প্রথা অনুযায়ী আগের চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকেই বর্ধিত মজুরি কার্যকর হয়। তা পরিশোধও করে মালিকপক্ষ। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। সে হিসেবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নতুন করে চুক্তি করে সে অনুযায়ী মজুরি কার্যকর হওয়ার কথা। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিক ও শ্রমিকনেতাদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারেনি দুপক্ষ।
এ অবস্থায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চলতি বছরের আগস্টে সিলেটসহ দেশের সবগুলো চা-বাগানের শ্রমিকরা একযোগে আন্দোলনে নামেন। ১৯ দিন লাগাতার তাদের কর্মবিরতির পর ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা-বাগানমালিকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে চা-শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ থেকে ১৭০ টাকা ঘোষণা দেয়া হয়। এই ঘোষণার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন চা-শ্রমিকরা। কিন্তু চা শ্রমিকরা বলছেন- এই ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী-নির্ধারিত ১৭০ টাকা করে মজুরি দেয়া হচ্ছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী আগের চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের বর্ধিত মজুরি দেয়া হয়নি। ফলে প্রায় ১৯ মাসের বর্ধিত মজুরির বকেয়া পড়ে আছে শ্রমিকদের।
চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা আজ শুক্রবার বলেন, এই ১৯ মাসের বকেয়া না পেয়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে ফের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বকেয়া পরিশোধ করা না হলে আবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।