রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্থকরী ফসল মাসকলাইয়ের আবাদে এবার ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় হয়েছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে মাসকলাইয়ের ক্ষেতে ফলন নেই। কোথাও কোথাও ফলন হলেও তা অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক কম। মাসকলাইয়ের ফলন বিপর্যয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে। অনেকেই মাঠের কলাই কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত চরাঞ্চলের হাজারো কৃষক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে মাসকলাইয়ের চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ আবাদ হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত ৬টি ইউনিয়নে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, মাসকলাই চাষে সেচ না লাগায় চরাঞ্চলের কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে মাসকলাই। কিন্তু এবার পুরো জেলাতেই মাসকলাইয়ের ক্ষেতে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। সদর উপজেলার নারায়নপুর, আলাতুলি, সুন্দরপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও উজিরপুর ইউনিয়নের অনেক মাঠে এবার মাসকলাইয়ের ফলন প্রায় শূন্যের কোটায়। এজন্য এসব মাঠে কলাই কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। মাঠের কলাই কেটে শ্রমিকের মজুরি খরচও উঠছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত চরাঞ্চলের কৃষকরা। সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের সোনারদির চরের কৃষক সাইফুল ইসলাম কালু জানান, গত বছর এক বিঘা জমিতে আড়াইমন থেকে ৩ মণ করে কলাই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এবছর এক মনও হয়নি। কোন কোন মাঠে বিঘাতে ১০ কেজি আবার কোথাও ২০ কজি করে কলাই উৎপাদন হয়েছে। আবার অনেক মাঠে ফলন শূন্যর কোটায় থাকায় কৃষকরা মাঠের কলাই কাটছে না। তিনি জানান, এতে করে তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সুন্দরপুরের কৃষক তাইফুল ইসলাম জানান, মাসকলাই চাষে খরচ অন্যান্য ফসলের চেয়ে অনেক কম। জমিতে শুধুমাত্র ২/১টি চাষ দিয়ে মাসকলাইয়ের বীজ বুনে দিলেই কাজ শেষ। বপন থেকে মাড়াই পর্যন্ত যা খরচ হয়, তার চেয়ে ৬/৭ গুণ লাভ হয়। এসব কারণেই কৃষকদের কাছে মাসকলাই চাষের আগ্রহ অনেক। কিন্তু এবার ফলনের যে অবস্থা তাতে খরচই উঠবে না। উজিরপুরের কৃষক মন্তাজ আলী জানান, পর্যাপ্ত পরিচর্যার পরও এবার ফল ধরেনি। কি কারণে ফলন বিপর্যয় তাও কৃষকরা বুঝতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, মাসকলাইয়ের আয়ে তাদের অনেকের ৬ মাসের সংসার খরচ চলে। কিন্তু এবার উৎপাদন কম হওয়ায় সংসার চালানো খুব কষ্টকর হবে। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজদার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফলন কম হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, গত অক্টোবর মাসে বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। ওই বৃষ্টিতে কলাইয়ের গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো ফলন আসেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।