রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বেনাপোল অফিস : স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম ওরফে বর্ণ মিয়া যুদ্ধের খ্যাতি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বাধীনতার ৪৫টি বছর। আজো তার নামটি অর্ন্তভুক্ত হয়নি মুক্তি যোদ্ধাদের তালিকায়। জীবন সংগ্রামে আজ সে একজন পরাজিত সৈনিক। কোন রকম অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটে তার। রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে চলে তার জীবন সংসার। রাতে চোখেও দেখে না সে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখে কষ্টে চলে তার মানবেতর জীবন। আর ক’দিনই বা বাঁচবে সে, তারপরও মারার আগে পেতে চান মুক্তি যুদ্ধের স্বীকৃতি। এই টুকু আশা নিয়ে ৭০ বছর পার হয়েছে তার জীবন। এখন আর চলতে ফিরতে পারে না সে। রবিউল ইসলামের পিতা ইউসুফ আলী। সংসারে ৩ মেয়ে আর ১ ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। তার একমাত্র ছেলে আদম আলী মোটর শ্রমিক। বেনাপোলের গাজিপুর গ্রামে দরজা-জানালাবিহীন সামান্য একটি টালির ঘরে তার বসবাস। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে তিনি স্ত্রী সন্তান ফেলে যোগ দেন পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ করেন বীরত্বের সাথে। ভারতের উ: ২৪ পরগন্ াজেলার চাপাবাড়িয়া মুক্তি ফৌজ ট্রেনিং ক্যাম্পে চলে তার প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুুক্তফৌজ হিসেবে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার স্থানীয় কমান্ডার ছিলেন বজলুর রহমান এবং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর মনজু। যুদ্ধকালীন তার সহযোদ্ধা ছিলেন, ইরফান, ইউছুফ, বাটুল, ছাওার ও মোশারফ মোড়ল। যুদ্ধকালীণ সময়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ছিল তার যুদ্ধাঞ্চল। যুদ্ধাকালীন সময়ে তিনি ছিলেন সবচেয়ে সাহসী একজন যোদ্ধা। সে সময় তার হাতে মারা গেছেন ২ জন পাকসেনা। আজ তাদের কেউ বেঁচে আছে আবার অনেকেই মারা গেছে। চাপাবাড়িয়া ক্যাম্প ইনচার্জ এম এ খালেক স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রত্যয়নপত্র দেন রবিউলকে। যার নাম্বার ১৭৭৩। তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল যশোর আনসার ক্যাম্পে। তার স্ত্রী আয়ফুল বেগম জানান, লোকের বাড়ি কাজ করে সংসার চলে তাদের। সংসার চালিয়ে স্বামীর চিকিৎসা খরচ বহন করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বর্ণ মিয়া জানালেন তার আক্ষেপের কথা তার এই শেষ কর্মহীন জীবনে কেউ কোন দিন খোঁজও নেয়নি। দেয়নি তাকে সরকারি সাহায্য। সর্বশেষ বেনাপোল পোর্ট থানা এসে গত মাসে তার সার্টিফিকেট যাচাই-বাচাই করে তার সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন উচ্চ মহলে। একবুক আশা নিয়ে আজো ঠুকরে ঠুকরে কাঁদতে হয় তাকে। কবে পাবে সে মুিক্ত যোদ্ধার স্বীকৃতি। বেনাপোল মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডপার শাহ আলম বলেন, রবিউল ইসলাম বর্ণ মিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ শেষে কোথাও যোগাযোগ করতে না পারায় তার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তিনি আজ অসুস্থ চলতে ফিরতে পারে না। তাকে মুক্তিযুদ্ধ তালিকায় নাম অর্šÍভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আবেদন জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।