রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় শাক সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত রবিবার সকালে সরেজমিনে মাদারীপুরের পুরান বাজার, ইটেরপুল বাজার ও চরমুগুরিয়া মস্তফাপুর বাজারে ঘুরে শাক-সবজির দাম বাড়ার বিষয়টি চোখে পড়েছে। তবে, গোপালপুর ও মাদ্রা বাজারে সবজি কেজি প্রতি একই দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০-১৬০ টাকায়। পটল কেজিতে গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা বেশি হয়ে ৪০ টাকায়। কাঁচা পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায়। লাউ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৫০ টাকায়, যা এসপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শশা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায়। বেগুনের দাম অপরিবর্তিত ৬০ টাকা। বরবটি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়। ছোট বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায়। করলা ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা। টমেটো অপরিবর্তিত ১০০ টাকা দামে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। ‘সবজির দাম কেন বেড়েছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদের সময় লোকজন শাক-সবজি কম খায়। তাই দাম একটু কম ছিল। তবে এখন সবজির চাহিদা বেড়েছে বিধায় দাম একটু বেশি।’ সবজির পাশাপাশি শাকের দামও বেড়েছে। প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লাল শাক ও সবুজ শাকের আঁটি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে পালং শাক ৩০ টাকা ও পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫ টাকা। ‘শীতের সবজি তেমনভাবে এখনো বাজারে আসেনি, এলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানান পুরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মতিন। তবে, চরমুগরিয়া বাজারে গত সপ্তাহ থেকেই ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে শাক-সবজির। দাম বাড়ার কারণ কী? জবাবে বাজারের সবজি বিক্রেতা কেরামত বলেন, ‘মানুষ আর কত মাংস খাবে, এখন সবাই সবজি খাচ্ছে। তাই চাহিদা বেড়েছে। এদিকে, সব বাজারেই ফার্মের ও দেশি মুরগির দাম কমেছে। চরমুগরিয়া ও ইটেরপুল বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লালা লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির হালি অপরিবর্তিত বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায়। তবে, ফামের মুরগির দাম পুরান বাজারে ১০ টাকা বেড়েছে কেজি প্রতি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালা লেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ১৫০ টাকা কেজি। অন্য বাজারে যখন দাম কমছে তখন কেন এ বাজারে দাম বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তালেব আলী বলেন, ‘ফার্মের মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। এছাড়া চালান কমে যাওয়ায় দাম একটু বাড়ানো হয়েছে।’ তবে নতুন বাজারে দেশি মুরগির দাম কমেছে। দেশি মুরগির কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির হালি অপরিবর্তিত ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা। এদিকে, ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সব বাজারগুলোতে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ৯০ টাকা, হালি ৩০ টাকা। দেশি মুরগির ডজন আকারভেদে ১৩৬ থেকে ১৪০ টাকা, হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১১৪ থেকে ১২০ টাকা, হালি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।