বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখের পর সব ভূমি কর অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। ম্যানুয়ালি ভূমি কর পরিশোধের কোনও সুযোগ থাকছে না। জমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ (সিওএল)’ নামের এ কার্ডে জমির মালিকানার যাবতীয় তথ্য থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব ভূমি মালিককে একটা স্মার্ট কার্ড দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। সেখানে সব ডেটা থাকবে। এই যে ঝগড়া-ঝাটি, তার কার্ডটা দিলেই সব বের হয়ে আসবে-তার কী পরিমাণ জমি আছে, তার কী পরিমাণ জমি ছিল, তিনি কী পরিমাণ জমি বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা জমি অটোমেটিক ডিডাকশন হয়ে যাবে, অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এটার (ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড) কাজ চলছে। আমরা এ অর্থবছরে এটা করার টার্গেট করেছি। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো আমরা অনেকটা সাকসেসফুল বাট মাঠ পর্যায়ে সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। এ জন্য আমরা সিস্টেমটা ডেভেলপ করছি।
সিস্টেমটা যখন পুরোপুরি ম্যাচিউরড হয়ে যায় তখন সে চাইলেও আর দুর্নীতি করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, ভূমি ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আমি খুব সাহসিকতার সাথে এগিয়ে গেছি বলা যায়। আমরা ল্যান্ড ডেটাব্যাংক করেছি। আমরা ই-মিউটেশন করেছি। আমরা অনলাইনে ভূমি কর ব্যবস্থা চালু করেছি। আমরা অনলাইনে ভূমি মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম করছি। ডিজিটাল সার্ভে করছি, পাঁচ কোটি খতিয়ান আপলোড করা হয়েছে। ডিজিটাল সার্ভে সারাদেশে রোল আউট করবো।
সম্প্রতি মর্টগেজ ডাটাব্যাংক করা হয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম করছি। আমরা অফিসারদের মন মানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমি নিবন্ধন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। ভূমি নিবন্ধন বিভাগ যদি আমাদের পর্যায়ে চলে আসে তবে অনেকটা সুবিধা হবে। তবে এটা একসাথে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলে ভালো হতো। ‘আমি আমার মন্ত্রণালয়ে একটি টিমসেট করেছি। আমার ডায়নামিকস সচিব আছে। এখানে আমি সারাজীবন থাকবো না, সচিবও থাকবে না, কেউ থাকবে না, আসবে আর যাবে- এটাই নিয়ম তবে যেটা করছি সেটা আমরা টেকসই করার জন্য কাজ করছি। যাওয়ারও সময় প্রায় হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।