দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেড়–ঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১২) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জুনিয়র শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার চ্যাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। সেই সাথে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের বেড়–ঞ্জ গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে মোছা: পারুল আক্তার বন্যা (১২) স্থানীয় ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। সমাপনী পরীক্ষার পূর্বে সে একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মাদরাসার জুনিয়র শিক্ষক শফিকুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়ত। সেই সময় সে শিক্ষকের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। এ সংক্রান্তে তার বাবা সাইদুল ইসলাম গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় সাধারণ সভা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোবহান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোবহান আলী ও সুপারিনটেনডেন্ট মো: মজিবর রহমান আকন্দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা উভয়ই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিয়ষটি মাদরাসার সভাপতি ও সুপারিনটেনডেন্টের নিকট থেকে জেনেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মেয়ের বাবাকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করে ঘটনাটি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।