বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় এক লঞ্চ যাত্রীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে একদল যুবক। গত মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় মো. সুমন গাজী নামের এক যাত্রীর উপর হামলা ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় নৌ পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই যুবক। নিহত মো. সুমন হাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকার মো. স্বপন গাজীর ছেলে। সুমন ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কর্মরত ছিল।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকা থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চযোগে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সুমন গাজী। পথিমধ্যে লঞ্চটি চাঁপুরের কাছাকাছি আসলে অপর লঞ্চ যাত্রী বাবুর সাথে লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাবু লঞ্চযাত্রী সুমনকে হুমকি-ধমকি দেয়। লঞ্চটি রাত সোয়া ১১টায় চাঁদপুর ঘাটে ভিড়লে বাবু ও তার বন্ধুরা মিলে সুমনের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সুমনকে বেদম মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
সুমনের মেঝো ভাই শরিফ গাজী ও চাচাতো ভাই মিজান বলেন, সুমন ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। সে বিবাহিত। সম্প্রতি সেে দুই লাখ টাকা ঋণ করে এলাকায় জমি কিনে। সেই টাকার মাসিক কিস্তি পরিশোধের করতে সে চাঁদপুর আসছিল। সে খুব সহজ সরল একজন ছেলে। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। বুকে আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সুমনের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।