Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পুঁতিশিল্পে গিনেস বুকে নাম লেখালেন আনিসা মুরশেদ

রিয়েল তন্ময় | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশী পুঁতিশিল্পী (বিড আর্টিস্ট) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করলেন। ‘লংগেস্ট থ্রেড অফ বিডস মেড বাই এন ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে এই রেকর্ড করেছেন তিনি। গত ১ নভেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এই রেকর্ড করতে তাকে অকে পরিশ্রম করতে হয়। এজন্য তাকে দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং প্রমাণের অনেক ধাপ পার হতে হয়েছে। মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা গত বছর শখের বশে ‘হেই অ্যানিসে’ প্রজেক্ট শুরু করেছিলেন। ভিডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন পুঁতি শিল্পকে। রেকর্ডটি ভাঙতে আনিসা এক ঘন্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছিলেন, আর তাতে ছিল মোট ১৬৭১টি পুঁতি। একই শিরোনামের পূর্ববর্তী রেকর্ডটি ছিল ৩২.৭ মিটার যা থেকে আনিসা প্রায় ১০ মিটার অতিক্রম করে নিজেকে ‘অফিশিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে দাবি করতে সফল হয়েছেন। উল্লেখ্য, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একক খেতাব পেয়েছেন ১৫ জনেরও কম ব্যক্তি। আনিসা বলেন, পুঁতি শিল্পের পিছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা এবং সময়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। কারণ, এটি খুব জনপ্রিয় শিল্প নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না। পুঁতির কাজ শুধু একটি কারুকাজ নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা এবং ধৈর্য বিকাশে সহায়তা করে। আমার উদ্যোগের মাধ্যমে, আমি বাংলাদেশী কারিগরদের পুঁতিশিল্প গ্রহণ করতে, এটি থেকে উপার্জন করতে এবং সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতিশিল্প উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করতে চাই। ১০ বছর বয়সে আনিসা শখ হিসাবে পুঁতিশিল্পকে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেই এ শিল্প আয়ত্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ