Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে পাইপ লাইনে জ্বালানী তেল সরবরাহ

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:০০ পিএম

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, দ্রুততম সময়ে মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানী তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল মেঘনা ডিপো পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করছে। এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের অনেক কাজ এগিয়ে গেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পাইপালাইন দিয়ে চট্রগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে জ্বালানী তেল সরবরাহ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাইপলাইনে তেল সরবাহ করা হলে পরিবহন খাতে জ্বালানী তেলের খরচ অনেক কমে আসবে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয় করে দাম নির্ধারনের কাজ চলছে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল মেঘনা ডিপোর রিসিভার টার্মিনাল স্থাপনের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইন স্থাপনের কাজ তদারকি করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহনীর ইঞ্জনিয়ারিং কোরের ২৪ ও ৩৪ ব্রিগেড। বাংলাদেশী ঠিকাদারের মাধ্যমে এই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। ২০১৬- ২০১৭ সালে এই কাজ শুরু হলেও কভিডের কারণে দুই বছর কাজ বন্ধ ছিলো। যে কারণে নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে।

তিনি বলেন, পাইপলাইন স্থাপন সম্পন্ন হলে জ্বালানি সরবরাহে ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে পতেঙ্গা থেকে গভীর সমুদ্র বন্দরে ডিপসীল পাইপলাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগে বড় মাদার ভেসেল থেকে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে তেল নিয়ে পতেঙ্গাতে আসতো। সেখান থেকে গাড়িতে বা ছোট ছোট জাহাজে করে বিভিন্ন ডিপোতে সরবরাহ করা হতো। মাদারভেসেল বা বড় জাহাজ জ্বালানী তের পরিবহনের জন্য ১২-১৪ দিন অপেক্ষায় থাকার কারণে তাদের লোকসান গুনতে হতো। সীপসীল পাইলাইন স্থাপনের কারণে খরচ কমে আসবে। এছাড়া পাইপালাইনের মাধ্যমে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল এবং গোদনাইল ডিপো থেকে বিভিন্ন জায়গার তেল সরবরাহ করা হবে। এতে করে তেল পরিবহনে খচর অনেক কমে আসবে। দাম সাশ্রয় হবে।

তিনি আরো বলেন, রুপগঞ্জের পিতলগঞ্জ থেকে পাইপের মধ্যে নতুন বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানের জ্বালানি তেল কুর্মিটোলা ডিপোতে চলে আসবে। পাইপলাইনে তেল সরবরাহ জন্য স্কাটার্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। পাইপের মধ্যে জ্বালানি তেলের টেম্পারেচারে পরিবর্তন বা কোন টেম্পারিং হলে টেকনোলজির মাধ্যমে তা মনিংটরিং করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিপিসি একটি বড় প্রতিষ্ঠান। কিছু প্রশ্ন থাকে। সংসদীয় কমিটি বিপিসি আর্থিক বিষয় নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা বিপিসিকে বলেছি, তৃতীয় একটি অডিট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ফাইন্যান্সিয়ালসহ বিভিন্ন বিষয়ে অডিট করানোর জন্য। আমরা যেহেতু আগামীতে তেলের ওপেন মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছি, তাই আমাদের পলিসি লেভেলেও গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। রেগুলেটরি বডির সঙ্গে আমারা কথা বলেছি, আগামীতে তেলের দাম নির্ধারণ কি তিন মাস পর পর, নাকি দুই মাস পর নাকি এক মাস পর পর নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়ে আগামী বছরের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেবো।

পরে মন্ত্রী শিবু মার্কেট এলাকায় তেল সরবরাহেব পাইপলাইনের কাজ ও ফতুল্লার মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো প্রস্তাবিত রিসিভ টার্মিনালের নির্মাণ কাজের জায়গা পরিদর্শন করেন।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ বিপিসি ও সেনাবাহনীর ইঞ্জনিয়ারিং কোরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, গোদনাইল মেঘনা ডিপো ইনচার্জ লতিফুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ