Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে পর্দায় আসছে নতুন ‘অ্যাভাটার’, দেখা যাবে স্টার সিনেপ্লেক্সে

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২২ পিএম

দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পর্দায় আসছে জেমস ক্যামেরনের বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা সিনেমা ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। বিশ্বমুক্তির দিনেই বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এরই মধ্যে অগ্রীম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের সকল শাখা এবং অনলাইনে টিকেট পাওয়া যাচ্ছে।

এবারের ছবি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ নিয়ে দর্শকদের কৌতুহল এখন চূড়ায়। এবার লড়াই চলবে জলে। সে লড়াই কেমন হবে, তার কিছু ধারণা দর্শকদের দিতে প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমার ট্রেইলার। টিজারে দেখা গেছে, জেমস ক্যামেরন এবার একটি জলজ জগত সৃষ্টি করেছেন দর্শকদের জন্য। এ পর্বে আরও বেশি কাল্পনিক চরিত্রের সমাহার ঘটিয়েছেন তিনি। অ্যাভাটারের ভেরিফায়েড ফেসবুকে টিজার প্রকাশের ১৯ ঘণ্টার মধ্যেই তা ভাইরাল হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে এটি। আর এতেই স্পষ্ট কতটা অধীর আগ্রহে সিনেমাটির জন্য অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। তবে নতুন সিনেমার মূল কাহিনি এখনও রহস্যাবৃত রাখা জয়েছে, তবে প্রথম সিনেমার তারকা ওর্থিংটন, জো সালডানা ও সিগোরনি ওয়েভার নতুন পর্বেও থাকছেন। নতুন যুক্ত হচ্ছেন মিশেল ইয়েও, এডি ফ্যালকো, উনা চ্যাপলিন এবং ক্যামেরনের আরেক বিখ্যাত সিনেমা ‘টাইটানিক’-এর নায়িকা কেট উইন্সলেট। টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওর ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জেমস ক্যামেরন এবং জন ল্যান্ডাও। এই পর্বে খুবই উচ্চপর্যায়ের ভিজুয়াল এফেক্ট থাকবে বলে জানা গেছে।

জেমস ক্যামেরন বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম প্যান্ডোরাতে আমাদের প্রত্যাবর্তন সত্যিই বিশেষ কিছু হোক। প্রতিটি শট সবচেয়ে বড় স্ক্রিন, সর্বোচ্চ রেজুলেশন এবং থ্রি-ডি উপভোগের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে।’ ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং মালয়ালামসহ বেশ কিছু ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মুক্তির আগেই যে পরিমান সাড়া ফেলেছে ছবিটি তাতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে এক নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, জেমস ক্যামেরনের ‘টারমিনেটর টু’ সিনেমাটি তাবৎ দুনিয়ার বক্সঅফিসে ঝড় তোলার পরপরই পরিচালক ভেবেছিলেন অ্যাভাটার নির্মাণের কথা। ১৯৯৪ সালে এর জন্য ৮০ পৃষ্ঠার একটি চিত্রনাট্য লিখেন ক্যামেরন। কিন্তু সিনেমাটি বানানোর মতো প্রযুক্তির অভাবে বাক্সবন্দি করেন পরিকল্পনা। নির্মাণ করেন ‘টাইটানিক’। রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসাসফল এই সিনেমা জিতে নেয় নয়টি অস্কার।

২০০৫ সালে ক্যামেরনের প্রতীক্ষার অবসান হয়। থ্রি-ডি প্রযুক্তির ভার্চুয়াল ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রানুষঙ্গ চলে আসে হাতের নাগালে। ‘অ্যাভাটার’ নির্মাণে জেমস ক্যামেরন ব্যবহার করলেন সর্বাধুনিক সিনেমাটিক গ্রাফিক্স। স্টোরিওস্কোপিক সাউন্ড সিস্টেমও এই প্রথম কোনো সিনেমাতে ব্যবহার করা হলো।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ২১৫৪ সালের পটভূমিতে রচিত অ্যাভাটারের গল্পে দেখা যায়, পৃথিবী নামক গ্রহটা প্রায় মৃত, শক্তির সকল উৎস শেষ হয়ে এসেছে। তখন পৃথিবীর অধিবাসীদের একদল প্রতিনিধি পাড়ি জমায় ‘প্যান্ডোরা’ নামের গ্রহে। সেখানে আছে পৃথিবীকে বাঁচানোর মতো এক শক্তির উৎস, যার নাম ‘আনঅবটেনিয়াম’। তবে পৃথিবীর জন্য এটি আহরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্যান্ডোরা গ্রহের অধিবাসীরা। মানুষের মতোই বাহ্যিক আকার কিন্তু লম্বা ও লেজ বিশিষ্ট এ অধিবাসীরা ‘ন্যা’ভি’ নামে পরিচিত। ন্যা’ভিরা নিজেদের গ্রহের ইকো-সিস্টেম বা জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। আর নিজেদের গ্রহের শক্তির উৎস আনঅবটেনিয়াম অন্য গ্রহের প্রাণীরা এসে নিয়ে যাক তা তারা চায় না। এ নিয়ে শুরু হয় সংঘাত।

২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র জগতে হইচই ফেলে দিয়েছিল ওই সময়ে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত ‘অ্যাভাটার’। সিনেমাটি এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২৮০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে সিনেমাটি। শুধু তাই নয়, ওই বছর অস্কারের নয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে তিনটি পুরস্কার জিতে নেয় ‘অ্যাভাটার’। এরপর থেকেই অগণিত দর্শকের অপেক্ষা পরবর্তী সিনেমার জন্য। সেই অপেক্ষার পালা শেষ করে মুক্তি পাচ্ছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ