Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মাদারীপুরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। তারা হলেন- মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনোহাটা এলাকার হাবিব ফকিরের ছেলে রবিউল ফকির, আবদুল লতিফ ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির, শাজাহান শিকদারের ছেলে সাইফুল শিকদার, করিম শিকদারের ছেলে বাদল। এর মধ্যে বাদল আর সাইফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নতি চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ৪ জনকে আটক করে। আহতদের মধ্যে চার জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার দুপুরে জমির সীমানা বেশি কাটা নিয়ে বাদল শিকদারের সঙ্গে রবিউল ফকিরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় স্থানীয়রা দু’পক্ষকে বসিয়ে সালিশ মিমাংসা করে দেয়। এ ঘটনার পরের দিন গতকাল সকালে জমিতে কাজ করতে যান রবিউল ফকির। এ সময় জমিতে বীজ রোপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল চিকিৎসক জায়িন আরেফিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের চার জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক।
আহত রবিউল ফকির বলেন, বাদল শিকদারের লোকজন সকালে আমার জমির সীমানা থেকেও বাড়তি জমি কেটে নেয়। পরে বীজ রোপণ শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে বাদল আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। অভিযোগের বিষয় বাদল শিকদার বলেন, আমি আমার জমি সীমানা কেটেছি। বীজও রোপণ করি। জমি আমার তাই আমি আমার ইচ্ছে মতো কাজ করবো। কিন্তু রবিউল অন্যায়ভাবে আমাকে বাধা দেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সত্যতা স্বীকার বলেন। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৪ জনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ