Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুয়াডাঙ্গায় ভারত সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সহযোগীকে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গয়েশপুর গ্রামে মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত বিরোধে তারেক হোসেনকে (৪০) ধারালো অস্ত্রাঘাতে হত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তারেক হোসেন একই উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বড়পুকুর পাড়ার রবগুল হোসেনের ছেলে। বিজিবি তাকে তাদের সহযোগী হিসেবে স্বীকার করেছে।
নিহত তারেক হোসেনের বাবা রবগুল হোসেন বলেন, তার ছেলেকে বাড়ি থেকে সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কারা যেনো ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে ভারত সীমান্তবর্তী দোয়াল মাঠ থেকে তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ৯টার দিকে তার চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই সে মারা যায়।
গয়েশপুর গ্রামবাসী জানায়, দীর্ঘদিন তারেক বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করছিলো। সে কারণে চোরাকারবারীদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিলো। চোরাকারবারীদের সন্ধান জানতে সে ওই সময় ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। সেখানে সে চোরাকারবারীদের সামনে পড়লে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা তারেককে আঘাত করে। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দৌঁড়ে সে কোন রকম বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল শাহীন আজাদ জানান, নিহত তারেক সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী কাজে তাদের সহযোগীতা করতো। সহযোগীতা অনেকেই করে। কিন্তু সহযোগীতার বিষয়টি যারা গোপন রাখতে পারে না তারাই চোরাকারবারীদের রোষানলে পড়ে। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে তারেকের ক্ষেত্রে। তবে ‘বিজিবির সোর্স’ কথাটির ব্যাপারে তিনি আপত্তি করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে জীবননগর গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েক জন মাদককারবারী অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে আসার জন্য দাঁড়িয়েছিলো। এ সময় তারা ওই স্থানে তারেক হোসেনকে দেখতে পেয়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত হয়।
তিনি আরো বলেন, নিহত তারেক হোসেন বিজিবির চোরাচালান বিরোধী কাজের সহযোগী ছিলো বলে জানা গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ