প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ফের বিপাকে স্বনামধন্য পাঞ্জাবী সঙ্গীতশিল্পী দালের মেহেন্দি। মাস কয়েক আগেই মানবপাচার কাণ্ডে জামিন পান তিনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক অভিযোগে বিদ্ধ হলেন দালের মেহেন্দি। সৌজন্যে বেআইনি নির্মাণ। গুরুগ্রামের কাছে দমদমা লেক অঞ্চলের কাছে পাঞ্জাবী পপ তারকার একটি ফার্মহাউস রয়েছে। যেটি নাকি সম্পূর্ণ অবৈধ, সঙ্গে আরও দুটি ফার্মহাউস উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলিরও নির্মাণের কোনও সঠিক নথি নেই। ইতিমধ্যেই সঠিক প্রমাণের কারণে সঙ্গীতশিল্পীর বাড়িসহ আরও দুটি ফার্মহাউস সিল করা হয়েছে সেই এলাকার প্ল্যানিং কমিটির তরফ থেকে। সেই কমিটির একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শহর ও দেশ পরিকল্পনা বিভাগ (ডিটিসিপি) সোহনার দমদমা হ্রদের কাছে অবস্থিত গায়ক দালের মেহেন্দি সহ তিনটি খামারবাড়ি সিল করে দিয়েছে। এছাড়াও সোনিয়া গোশ বনাম হরিয়ানা রাজ্যের বিষয়ে এনজিটি-র নির্দেশ মেনে চলার ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বলেছেন, আজ তিনটি ফার্ম হাউস পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় সিল করা হয়েছে। সুমিত মালিক, দীনেশ সিং, রোহন এবং শুভম সহ ডিটিপি অমিত মাধোলিয়ার নেতৃত্বে একটি দল সিল করার অভিযান চালায়। অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথায়, এই তিনটি ফার্মহাউসের মধ্যে একটি গায়ক দালের মেহেন্দির। আর তাঁর বাড়িটি নাকি প্রায় দেড় একর জমির ওপর তৈরি। জানা গিয়েছে, এগুলি নাকি বেআইনিভাবে এবং আরাবল্লীর রেঞ্জে কোনও অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে পুরনো একটি কেস, অর্থাৎ ২০০৩ সালের মানব পাচারের মামলায় অভিযুক্ত দালের মেহেন্দিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে মাস দুয়েক পর সেপ্টেম্বরে তিনি জামিন পান। পাঞ্জাব আদালত গায়ককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, দালের তাঁর দলের সদস্যদের ছদ্মবেশে অবৈধভাবে লোকদের বিদেশে চালান করতেন। যে কারণে ২০০৩ সালের মানব পাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন দালের। এই মামলার ভিত্তিতেই ২০১৮ সালে ১৬ মার্চ পাতিয়ালা আদালত পাঞ্জাবি পপ-গায়ককে দু বছর সশ্রম কারাদণ্ডে বন্দী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে দালের মেহেন্দি এবং তাঁর ভাই শমসের সিংয়ের বিরুদ্ধে মোট ৩১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৯৯৮-৯৯ সালে ১০ জন ভারতীয়কে নিজের দলের সদস্য হিসাবে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়ে বেআইনিভাবে ‘ছেড়ে দিয়ে’ আসেন এই দুই ভাই। সেই মামলা এতদিন পর রুজু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।