Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেটফ্লিক্সে ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’, পুরো সত্য কতটা সামনে এলো

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১৬ পিএম

এমনিতেই যুবরাজ হ্যারি রাজ পরিবারের জন্য নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলেন। একে তো তিনি বিয়ে করেন একেবারে সাধারণ এক নারীকে যাকে ব্রিটিশরা বলে থাকে কমনার, তার ওপর অশ্বেতাঙ্গ। ভয়াবহ এক কাজ করে ফেলেন তিনি ২০১৮’র মার্চে, বিয়ে করেন মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে। পুরো বিষয়টাই ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জন্য অস্বস্তির। যতটুকু চেপে থাকা যায় আরকী, আর এই বিষয়টি নিয়েই যদি তথ্যচিত্র নির্মিত হয় ওটিটির জন্য তাকে অস্বস্তি কতটা বাড়তে পারে বোঝাই যায়।

এই দম্পতি যদি আগেভাগে  বলেন, ‘পুরো সত্যটা’ জানেন শুধু তাঁরা, তা এক রকম হুমকিই হয় নয় কি? এমন মনোভাব নিয়েই তারা মুখ খুলেছেন ক্যামেরার সামনে। কিন্তু সেই ‘পুরো সত্য’ রাজপরিবারের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে না তো? ব্রিটেনের রাজপুত্র হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানকে নিয়ে নতুন তথ্যচিত্র সেই জল্পনা উস্কে দিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার, নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ নামের তথ্যচিত্রটির ছয় এপিসোডের প্রথম তিনটি। প্রত্যাশা মতোই এই তথ্যচিত্রে অকপট তরুণ দম্পতি। হ্যারির কথায়, ‘‘প্রথম থেকেই মেগানের প্রতি অত্যন্ত নির্মম আচরণ করত আমাদের দেশের (যুক্তরাজ্যের)  ট্যাবলয়েড। কিন্তু রাজপরিবারের অনেকেরই দাবি, সংবাদ মাধ্যমের এই কাটাছেঁড়া আসলে এক ধরনের ‘অগ্নিপরীক্ষা’। মেগান এই পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে কি না, তার। আমি সেই কথা বিশ্বাস করিনি। আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম, মেগানকে নিয়ে আমার পরিবারের একটাই সমস্যা— ওর (ভিন্ন) জাতি!’’

২০২০-র গোড়ায় ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে আসেন হ্যারি ও মেগান। ছেলেকে নিয়ে নতুন ‘আড়ম্বরহীন’ জীবন শুরু করেন আমেরিকায়। পরে তাঁদের একটি মেয়েও হয়েছে। রাজপরিবারের খেতাব ও দায়িত্ব ছেড়ে আসার সেই সিদ্ধান্তের সমর্থনে হ্যারি বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিরাপত্তাই আমার কাছে একমাত্র বিবেচ্য বিষয় ছিল। আমি চাইনি, মায়ের সঙ্গে যা হয়েছিল, আমার পরিবারের সঙ্গেও ঠিক তাই হয়। আমরা এটাও চাইনি যে, আমাদের মা-বাবার যে ভাবে বিচ্ছেদ হয়েছিল, আমাদেরও সেই দুঃখজনক পথে হাঁটতে হয়।’’

তথ্যচিত্রে বারবার উঠে এসেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রথম স্ত্রী, হ্যারির মা ডায়ানার কথা। রাজপরিবারের সঙ্গে প্রিন্সেস অব ওয়েলসের সংঘাত, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, এ সব কিছু নিয়ে তখন কম কাটাছেঁড়া করেনি ব্রিটিশ তথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। প্যারিসের টানেলে ডায়ানার প্রাণঘাতী গাড়ি দুর্ঘটনার জন্যও দায়ী করা হয় পাপারাৎজিকে। মেগানকে ‘একঘরে’ করে রাখা, রাজপরিবারের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে মেগানের মানসিক অবসাদ, এই সব কিছুর জন্য সংবাদ মাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করেছেন হ্যারি। স্বামী যখন সেই সব কথা বলছেন, তখন চোখের জল বাঁধ মানেনি মেগানের।

বছর দেড়েক আগে আমেরিকান টিভি সঞ্চালক ওপরা উইনফ্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও রাজপরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন হ্যারি-মেগান। এই নতুন তথ্যচিত্র পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ফাটল আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, এই আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সময়ে চার্লস নাকি তাঁর ছোট ছেলেকে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, দাদীর মৃত্যুশয্যার পাশে মেগানের উপস্থিত থাকার কোনও দরকার নেই, শুধু হ্যারি থাকলেই হবে। বাবার সেই কথা মান্য করে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে একাই গিয়েছিলেন হ্যারি। তবে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন শেষকৃত্যের অন্যান্য অনুষ্ঠানে। তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পরে অবশ্য এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে মুখ খোলেনি রাজপরিবারের কেউ। তথ্যচিত্রের নির্মাতা সংস্থাটির দাবি, হ্যারি-মেগানের বিবৃতির পাল্টা জানতে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।

এর আগে ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান: এ রয়্যাল রোমান্স’ নামে একটি টিভি ফিকশন বানানো হয় এই দম্পতিকে নিয়ে।

এবার দুই ভলিউমের একটি সিরিজ নির্মাণ করেছে নেটফ্লিক্স। এমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী পরিচালক লিজ গারবাস এটি নির্মাণ করেছেন। দুইবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।

রটেন টমেটোজে তথ্যচিত্রটি ৪৬ শতাংশ রেটিং পেয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস লিখেছে টেলিভিশনে এর আগে রাজ পরিবারের যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার তুলনায় এর বিষয়বস্তু বেশ অনাকর্ষণীয়। দ্য টাইমসের মন্তব্য : সুন্দরভাবে চিত্রায়িত হয়েছে তবে বর্ণনায় ধীর গতি দেখা গেছে। সিএনএন : তারা স্পটলাইটে কম থাকার চেয়ে বরং তাতে তাদের কেমন দেখায় সে ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিল। তথ্যচিত্রে তাদের বেশি সাধারণ দেখান হয়েছে।  ফক্স নিউজ লিখেছে : একঘেয়ে তথ্যচিত্র, তাদের প্রথম যেভাবে দেখা হয়েছিল, তা অনেক বদলান হয়েছে। 

 

 Financial Times was critical of the show's pace, stating "This is a show that makes you grateful that the streaming platform has the option to watch at 1.25x speed."[19] He also added that compared to past appearances by members of the royal family on television, the show was lacking any interesting content.[19] Writing for The Times, Carol Midgley believed the show was "beautifully shot but it was repetitive, whingy and boring."[20] In her review for Deadline, Stephanie Bunbury found the series lacking in terms of interesting content, saying that the audience would be "feeling shortchanged by Volume I."[21] Writing for Variety, Daniel D'Addario believed the series suffered from "a sort of narrative stuckness, an inability or lack of desire to find the next thing to say that we haven't yet heard."[22] He added that "speaking in their own voice about issues other than their personal experience would have represented a good start."[22] In a review for CNN, Peggy Drexler wrote that the couple was "less interested in staying out of the spotlight than in staying in complete control of how that spotlight makes them look," and added that "the documentary strives to portray them as 'more grounded' than the rest of the royal family. In reality, they may be the most out of touch of them all."[23] Writing for Fox News, Neil Sean was critical of the inconsistencies within the "boring" docuseries: "Even how they first met has radically changed like so many inconsistencies in the dire podcast she hosted, which took years to make."[24]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ