বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে বলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মৌচাক এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এসময় পুলিশ শ্রমিকের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিউ লাইন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক ও স্থানীয় দোকানদার আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকদের ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকার সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কারখানা এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কারখানা এলাকা ও মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, ‘আমাদের গত ৩ মাসের, স্টাফদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু কারখানা মালিক বেতনের আশ্বাস দেওয়ার পরেও বেতন দেয় না। পরে বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেন। গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে মহাসড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিবেশ অনেকটা শান্ত রয়েছে।