Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সঙ্কটে এস আলম গ্রুপের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ব্যাংকিংখাতে পাহাড়সম খেলাপি ঋণ, সুদহার নিয়ে নানান সমীকরণের মধ্যে চলছে ব্যাংকব্যবস্থা। সরকারের কাছ থেকে নানামুখী সুবিধা নিয়েও হচ্ছে না অবস্থার উত্তরণ। এর মধ্যেও ভালো করছিল ব্যবসা করছে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো। কিন্তু একটি গোষ্ঠীর কাছে দেশের কয়েকটি ইসলামী ধারার ব্যাংক চলে যাওয়ায় সঙ্কটে পড়েছে দেশের ওইসব ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে দেশের বিতর্কিত শিল্প গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় এই গ্রুপের ব্যাংকগুলোর আমানত প্রতিদিন কমছে। আর ব্যাংকগুলো নগদ সঙ্কট থেকে উত্তরণে ইতিমধ্যে ‘ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি’র অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এরমধ্যে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকিয়ের সঙ্গে জড়িত আরেক ইউনিয়ন ব্যাংক গত মঙ্গলবার ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। পরের দিন বুধবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক আরও ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যদিও গত বৃহষ্পতিবার ৫৯০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো। গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর নিট ধার নেমে এসেছে ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকায়। গত মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনে ৫টি ইসলামী ব্যাংক ৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলোতে এখনো লিকুইডিটি স্ট্রেস রয়ে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া ইসলামী ধারার অনেক ব্যাংক থেকেই গ্রাহকদের টাকা তোলার প্রবণতা বাড়ায় ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট আগের তুলনায় কমছে বলে জানিয়েছেন কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের প্রভাব তৈরি করা হয়েছে। একটা চাপ তো আছেই। আমার সময়েও চাপ ছিল, কিন্তু সেটা নিয়ে আমরা কথা বলতাম, আলোচনা করতাম। ব্যাংকিং খাতে আসলে সুশাসন নেই। ব্যাংকারদের সংগঠনগুলোও নানারকম লবি করে, স্টেটমেন্ট দেয়। তাদের কারণেও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভাবিত হয়। আর রাজনৈতিক ইস্যু তো আছেই। রাজনৈতিক কানেকশন আছে, তারা নানাভাবে সুবিধা পায়। আসলে বাংলাদেশের ব্যাংক যে পুরোপুরি পেশাদারিভাবে চলে, ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন কঠোরভাবে পালন করে, সেটা আমি বলবো না। সেখানে একটা দুর্বলতা আছে, আর সে কারণেই বড় ধরণের অনিয়ম ঘটছে ড. আহমেদ। তিনি বলেন, বাজার প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে যাচ্ছে। কারণ, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে স্বেচ্ছায় অনেক আমানত আসে। ধর্মপ্রাণ অনেকে এ ধারার ব্যাংকে লেনেদেনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ জন্য আমানতকারীরা দর-কষাকষি করেন না। তাদের বেশির ভাগই একটি ব্যাংকে আমানত রেখেই খুশি থাকেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি নেয়া ইসলামী ধারার একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের কাছে থাকা কিছু কর্পোরেট ডিপোজিটের টাকা তোলা হয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে ডিপোজিট আগের তুলনায় কমেছে। গত বৃহষ্পতিবার একদিনেই সব প্যারামিটারে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক থেকেই প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে গ্রাহকরা। ইসলামী ধারার বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো থেকেই গ্রাহকের টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে।

কারণ হিসেবে এস আলম গ্রুপের ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, গত মাস নভেম্বরেই ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে এস আলম গ্রুপ তিন ব্যাংক থেকে সন্দেহজনক ঋণ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরেই তুলে নেয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। অবশ্য ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ এ পর্যন্ত ঋণ পেয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা, যদিও তাদের সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার কথা। আর বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ, এস আলম গ্রুপ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো থেকে নিজ প্রতিষ্ঠান ও তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে-বেনামে সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বেশিরভাগই ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া।

গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপকের কাছে ইউনিয়ন ব্যাংকের চট্রগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানির নাম ব্যবহার করে হিসাব খুলে বড় অঙ্কের ঋণ নেয়ার অভিযোগ আসে। অভিযোগটি তাৎক্ষনিক বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি। যদিও ওই সময়ে ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইনকিলাব থেকে যোগাযোগ করলে তিনি জেনে জানাবেন উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আর এ বিষয়ে কথা বলেননি।

এস আলম নিয়ন্ত্রণাধীন এসব ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সঙ্কটে থাকার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটের দায়িত্বে থাকা এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক যা বর্তমানে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মালিকানায় এসেছে। এসব ব্যাংকের অনিয়মের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটি রিপোর্টেই উঠে এসেছে।

সূত্র মতে, ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এস আলম গ্রুপের বড় অঙ্কের ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাই আদালত ইসলামী ব্যাংক থেকে এই ঋণ নেয়ার ব্যাপারে রিট করতে বলেছেন। একই সঙ্গে এখন থেকে ঋণগ্রহীতার নাম ও ঠিকানা ব্যাংকগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শুরুর কথা বললেও ঋণ জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সরকারও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আর যে প্রতিষ্ঠানটি এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সেই এস আলম গ্রুপও মুখ খুলছে না।

সূত্র মতে, ঋণ প্রদানের অনিয়মের অভিযোগের ওঠার পর থেকেই গ্রাহকরা শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার এই ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো চাপ ও তারল্য সঙ্কটে পড়েছে। যদিও ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলা সম্প্রতি বলেছেন, সব প্যারামিটারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ব্যাংকটি। ঋণ-আমানত, রেমিট্যান্স যে কোনো বিচারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামী ব্যাংক। তাই ব্যাংক নিয়ে গ্রাহকদের আস্থার কোনো সঙ্কট নেই এমনটাই দাবি এমডি’র।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ৬১ ব্যাংকের মধ্যে এখন ১০টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে এবং চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ব্যাংকিং সেক্টরের আমানতের ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশই ওই ব্যাংকগুলোতে হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলোÑ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্, এক্সিম, শাহজালাল, স্ট্যান্ডার্ড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকায়। ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও, বেশ কয়েকটি প্রচলিত ব্যাংকও আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করেছে। এস আলম গ্রুপের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর কারণে অন্যান্য ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোও সঙ্কটে পড়েছে বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।



 

Show all comments
  • কুরবান ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৪৪ এএম says : 0
    একজন সাধারণ কৃষক লোন নিলে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি একজন সাধারণ কৃষক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি,গোয়াল ঘরের কয়টা গরু, জমির জাবেদা, খতিয়ান ইত্যাদি দেখা হয় এমনকি জামানত হিসেবে জমির দলিল রেখে দেওয়া হয়। এস আলম গ্রুপের ব্যাপারে কেন দেখা হলো না, কেন যাচাই বাছাই করা হলো না। ব্যাংক কর্মকর্তারা এত বড় লোনের ক্ষেত্রে কেন গাফিলতি করলেন কেন চোরের ফাঁকি ধরলেন না বরং সুযোগ দিলেন
    Total Reply(0) Reply
  • Manik ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫১ এএম says : 0
    ইসলামী ব্যাংক সরকারি নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকেই লুটপাট চলছে
    Total Reply(0) Reply
  • KM Shafiqul ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১৭ এএম says : 0
    এস আলমের মাসুদ একটা বড় বাটপার। আমার মনে হয় মাসুদের জন্মটা ঘাপলায় হয়েছে তাই ঘাপলা করতে তার খুব ভালো লাগে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sadat ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩৮ এএম says : 0
    কত্তো টাকা লাগে!!!???????? $.@লম গ্রুপ & পরিবার না করোণায় নাই হয়া গেলো????। কি করবো টেকা দিয়া, আল্লাহ রহমত দেন
    Total Reply(0) Reply
  • কুরবান ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৪৫ এএম says : 0
    একজন সাধারণ কৃষক লোন নিলে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি একজন সাধারণ কৃষক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি,গোয়াল ঘরের কয়টা গরু, জমির জাবেদা, খতিয়ান ইত্যাদি দেখা হয় এমনকি জামানত হিসেবে জমির দলিল রেখে দেওয়া হয়। এস আলম গ্রুপের ব্যাপারে কেন দেখা হলো না, কেন যাচাই বাছাই করা হলো না। ব্যাংক কর্মকর্তারা এত বড় লোনের ক্ষেত্রে কেন গাফিলতি করলেন কেন চোরের ফাঁকি ধরলেন না বরং সুযোগ দিলেন
    Total Reply(0) Reply
  • Sadat ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩৮ এএম says : 0
    কত্তো টাকা লাগে!!!???????? $.@লম গ্রুপ & পরিবার না করোণায় নাই হয়া গেলো????। কি করবো টেকা দিয়া, আল্লাহ রহমত দেন
    Total Reply(0) Reply
  • কুরবান ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৪৪ এএম says : 0
    একজন সাধারণ কৃষক লোন নিলে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি একজন সাধারণ কৃষক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার রান্নাঘরের কয়টা হাড়ি,গোয়াল ঘরের কয়টা গরু, জমির জাবেদা, খতিয়ান ইত্যাদি দেখা হয় এমনকি জামানত হিসেবে জমির দলিল রেখে দেওয়া হয়। এস আলম গ্রুপের ব্যাপারে কেন দেখা হলো না, কেন যাচাই বাছাই করা হলো না। ব্যাংক কর্মকর্তারা এত বড় লোনের ক্ষেত্রে কেন গাফিলতি করলেন কেন চোরের ফাঁকি ধরলেন না বরং সুযোগ দিলেন
    Total Reply(0) Reply
  • মনির ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:২২ এএম says : 0
    দেশের ১৬% ব্যাঙ্কের কাছে ২৫% আমানত সুদ ব্যবসায়ীদের গাত্রদাহের কারন হয়েছিলো। তাই প্রথম ধাপে ব্যাগুলোতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দলীয় লোক পদায়ন করে দলীয় ব্যবসায়ীকে ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ব্যাঙ্কের পর্ষদকে বাধ্য করা হয় দলীয় ব্যবসায়ীকে সীমালঙ্ঘন করে ঋন দেওয়ার জন্য। তৃতীয় ধাপে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্বৃত্তের সহায়তায় সেই টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হয়। চতুর্থ ধাপে সেই খবর পেটোয়া মিডিয়ার মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করে সাধারন ধর্মপ্রাণ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করা হয়। গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে আমানত তুলে সুদী ব্যাঙ্কে রাখলে তাদের মিশন সফল হবে। এক ঢিলে দুই পাখি। ইসলামী ভাবধারার ব্যাঙ্ক গুলোর সর্বনাশ করা হলো আবার নিজেদের পকেটও ভারী হলো। তবে মৃত্যুর পর এই দেশদ্রোহীদের নাম ইহকালে মানুষ ঘৃনাভরে উচ্চারন করবে আর পরকালে তাদের জন্য আছে অনন্ত দোজখ।
    Total Reply(1) Reply
    • Md. Yousuf ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
      Very nice
  • Mohammad Jahidul Islam Ali ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৬ এএম says : 0
    এস আলম গ্রুপ চুরি ডাকাতি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Akter Hossain ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৬ এএম says : 0
    আহ! কি সুন্দর খেলা। চুরি করার সিগন্যাল দিয়েছিলো এখন টাকা ছাপিয়ে সেটা পূরন করার পথ বের করে দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali Azgor ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৭ এএম says : 0
    খিচুড়ি উদ্ধার অভিযানে চাপা পড়ে গেল ইসলামী ব্যাংক-এস আলম গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি। এস আলমের মালিকানাধীন ৫ টি ব্যাংক ৫২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।এস আলম গ্রুপ টাকা নিয়ে গেল এসব ব্যাংক থেকে,সেই ব্যাংকগুলো আবার টাকা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ibrahim ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৭ এএম says : 0
    সাধারণ জনগন কাকে বিশ্বাস করবে বুজে আসেনা কোথাও নিরাপত্তা নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Aslam SK Sarkar ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৯ এএম says : 0
    এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানিজিং ডাইরেক্টর সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবার সদস্যরা নাম সর্বস্ব কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে! সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় সাইফুল আলম বাংলাদেশে নয় সিংগাপুরের সিটিজেনশীপ নিয়ে সিংগাপুর থাকেন। দুদক কিংবা প্রশাসন চাইলেও কি পারবেন তাদের কোন দিন আইনের আওতায় আনতে? সাইফুল আলমের পৃষ্ঠপোষক কারা? ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গ্রুপটির এভাবে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে গ্রুপটির ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে। এজন্য ব্যাংকের বোর্ড এবং ব্যবস্থাপনায় তার প্রভাব ব্যবহার করে বিশাল অঙ্কের এই ঋণ পেয়েছে। যার বেশিরভাগই বিভিন্ন অনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করেছিলো। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সন্দেহ করেন যে গ্রুপ এবং এর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি এখনও পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণ করে এমন ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে যার বেশিরভাগই দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক থেকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Dr. Mohammad Hoque ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:১৪ এএম says : 0
    ইসলাম কোন অনৈতনিক ব্যবসা অনূমোদন করেনা। ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে ও ভুয়া কোম্পানি খুলে এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে এত লোন এক লুটেরাকারীকে দেয়া ইসলামী চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। ব্যাংকে চোরের উৎপাত, মানুষের আমানত লুটপাট মানুষকে হতবাক করেছে। ইসলামের নাম ব্যাবহার করে চিচিং ফাঁকের মন্ত্রণা জপে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ লুটপাটের মেকানিজম হিসাবে ইসলামী ধারার এতোগুলু ব্যাঙ্ক একটি দেশি বেনিয়া গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করবে তা ভাবা যায় না। আরব্য রজনীর আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের গল্প শুনেছি। মনে হচ্ছে ইসলাম সেবার ছদ্ধ আবরণে ওই চোরেরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে এ দেশের মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এতে ইসলামী ব্যাংকের লেন-দেনের নৈতিক শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মিজানুর রহমান ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ পিএম says : 0
    মানুষ ওদের চোর/দুরনিতিবাজ বলে জানবে সেটাই ওরা চায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazibur Rahman ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫০ এএম says : 0
    লোনের টাকা রাজনৈতিক নেতাদের পকেট থেকে পাচার হয়ে গেছে। এইসব ব্যাংকগুলো পিপলস লিজিংএর ভাগ্য বরন করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazibur Rahman ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫০ এএম says : 0
    লোনের টাকা রাজনৈতিক নেতাদের পকেট থেকে পাচার হয়ে গেছে। এইসব ব্যাংকগুলো পিপলস লিজিংএর ভাগ্য বরন করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasiruddin Ahmed ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১৫ পিএম says : 0
    আমার বড় বিষ্ময় শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো থেকে বাইরের প্রভাব খাটিয়ে জনগনের টাকা লুটপাট করা হলো এবং এইসব ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা প্রতিবাদ বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে তো শুনলাম না! সবার উপরেই কি শয়তান আছর করেছিল?!
    Total Reply(0) Reply
  • Nasiruddin Ahmed ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১১ পিএম says : 0
    আমার বড় বিষ্ময় শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো থেকে বাইরের প্রভাব খাটিয়ে জনগনের টাকা লুটপাট করা হলো এবং এইসব ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা প্রতিবাদ বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে তো শুনলাম না! সবার উপরেই কি শয়তান আছর করেছিল?!
    Total Reply(0) Reply
  • Nasiruddin Ahmed ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১১ পিএম says : 0
    আমার বড় বিষ্ময় শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো থেকে বাইরের প্রভাব খাটিয়ে জনগনের টাকা লুটপাট করা হলো এবং এইসব ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা প্রতিবাদ বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে তো শুনলাম না! সবার উপরেই কি শয়তান আছর করেছিল?!
    Total Reply(0) Reply
  • AB Siddique ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:২৫ পিএম says : 0
    পঙ্গপালের মত নিয়োগ হচ্ছে এক জায়গা থেকেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে অবৈধভাবে। এসবের প্রতিবাদ আগে করা হলে হয়তো দেশের এত ক্ষতি হতো না।
    Total Reply(0) Reply
  • স্বজন বড়ুয়া ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৩ এএম says : 0
    যারা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • স্বজন বড়ুয়া ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৩ এএম says : 0
    যারা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • স্বজন বড়ুয়া ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৪ এএম says : 0
    যারা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • স্বজন বড়ুয়া ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৪ এএম says : 0
    যারা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • Shamsul alam ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১১ পিএম says : 0
    Its very sad news,,, the influential people are destroying the banks by taking loans of thousands of cores taka and crippling Bangladesh but poor peoples don't get even small amount loan. millions of people are starving. its seems like there is no one to watch,, we are a very unfortunate nations!!!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Shamsul alam ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১২ পিএম says : 0
    very sad!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • ANWAR HUSSAIN ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:২৩ এএম says : 0
    আমরা লোন চাইলে পাইনা আর যারা বাটপার তারা চাওয়ার আগেই পেয়ে যায় এটার নাম বাংলাদেশ,
    Total Reply(0) Reply
  • giasuddin khan ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৫৭ পিএম says : 0
    বলা হচ্ছে একটা গোষ্ঠীর কাছে,,কিন্তু এটা কেন জাতির কাছে উম্মচন করছেন না যে এই গোষ্ঠীটা কে বা কারা..? কাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে এর সাথে..? সেটা জাতির কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করছি।।
    Total Reply(0) Reply
  • এস আই তালুকদার ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৫৮ পিএম says : 0
    দেশের ব্যাংকিং খাতের সকল অনিয়মের মূল হোতা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এবং ফজলে কবির গং।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৪৪ এএম says : 0
    সরকার ধীরে ধীরে ইসলামী ব্যাংক গুলোকে খেয়ে ফেলবে।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহজাহান ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৯ এএম says : 0
    ডালমে কুচ কালাহে ভবিষ্যতে তা প্রকাশ হবে।ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ধ্বংস করার চক্রান্তে কে বা কাহারা জড়িত তাদের আসল রুপ উন্মোচন হবে সে অপেক্ষায় রইলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহজাহান ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৯ এএম says : 0
    ডালমে কুচ কালাহে ভবিষ্যতে তা প্রকাশ হবে।ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ধ্বংস করার চক্রান্তে কে বা কাহারা জড়িত তাদের আসল রুপ উন্মোচন হবে সে অপেক্ষায় রইলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহজাহান ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩০ এএম says : 0
    ডালমে কুচ কালাহে ভবিষ্যতে তা প্রকাশ হবে।ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ধ্বংস করার চক্রান্তে কে বা কাহারা জড়িত তাদের আসল রুপ উন্মোচন হবে সে অপেক্ষায় রইলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহজাহান ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩০ এএম says : 0
    ডালমে কুচ কালাহে ভবিষ্যতে তা প্রকাশ হবে।ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ধ্বংস করার চক্রান্তে কে বা কাহারা জড়িত তাদের আসল রুপ উন্মোচন হবে সে অপেক্ষায় রইলাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ