Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঝুলে আছে ফারদিন হত্যা মামলার তদন্ত

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজনৈতিক অস্থিরতায় আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন খান পরশ হত্যা মামলার তদন্ত অনেকটা স্তিমিত হয়ে গেছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি ডিজিটাল ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে কাজ করলে এখন ব্যস্ততা নেই।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, আপাতত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। ফারদিন হত্যার বিষয়টি মতিঝিল বিভাগ দেখভাল করলেও তেমন কোনো তথ্য না মেলায় একটু সময় লাগছে। এটি দীর্ঘমেয়াদি তদন্ত প্রক্রিয়া। কাজেই এত তাড়াতাড়ি কোনো কিছু সম্ভব নয়।

মামলার বাদী ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা বলেন, আমার ছেলে হত্যা হয়েছে সেটির রহস্য বের না করে শুরু থেকে পুলিশ নানা কথা বলে মামলার মোটিভটাই চেঞ্জ করা হয়েছে। আগাম কথাবার্তা বলে মামলার গুরুত্ব হারিয়েছে। ফারদিন হত্যার তদন্ত একপ্রকার থেমে গেছে বলে আমি মনে করছি।

তবে মামলার তদারকি কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেন, আমরা তদন্ত করছি। ভিডিও ফুটেজ যা পেয়েছি তা সূক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা মাঠে রয়েছে তেমন কিছু পেলে আমরা জানাতে পারবো। এরমধ্যে রাজনৈতিক ইস্যু আসায় তদন্তকাজ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। তবে ফারদিন হত্যার তদন্তও থেমে নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা ঘটার পর যা হয় তাই হয়েছে। একটি ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই অন্য আরেকটি ঘটনা ঘটে যায়। তখন সেটি নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাগুলো ব্যস্ত থাকে। কিন্তু আগের ঘটনার তদন্ত যে শেষই হয়নি তা বুঝতে পারে না। এক্ষেত্রে জনবল একটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন তো সেই সমস্যাও অনেকটা নেই বললেই চলে। ফারদিন হত্যার মামলার তদন্তের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে মনে করছি। এরপরও আশা রাখতে হয়। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ ঘটনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো ছায়া তদন্ত করছে র‌্যাব। খুনের মোটিভ উদঘটন ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি। র‌্যাবের তদন্তে বেশ অগ্রগতি আছে। কিন্ত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ বের করতে কাজ করছি। ফারদিন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত ডিজিটাল ফুটেজ পেয়েছি তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায়। হত্যাকাণ্ডের পূর্বে তার (ফারদিনের) যেসব জায়গায় বিচরণ ছিল, সেসব স্থানে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একই উদ্দেশে কাজ করছে। সেটা হচ্ছে ফারদিন হত্যার মোটিভ কি তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। গত ৪ নভেম্বর ফারদিন রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরদিন ফারদিনের বাবা রানা রামপুরা থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করে। রিমান্ড শেষে পুলিশ জানিয়েছে, ফারদিন হত্যায় বুশরা তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ