Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হোক চিরকালীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয়। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরস্ত্র বাঙালির মুক্তি কামনার আন্দোলনে প্রতিটি মানুষকে দ্রোহী, সাহসী এবং প্রশিক্ষণসমেত এক বীরযোদ্ধা করে তুলতে ভারত যে সহায়তা করেছে তা উপমহাদেশের গণতন্ত্রের বাতায়নকে উজ্জ্বীবিত করেছে। আমাদের সংগ্রাম ছিল মুক্তি প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আর মানব মুক্তি প্রতিষ্ঠার। মানব মুক্তির সে মহাসংগ্রামে ভারত-বাংলাদেশ অটুট বন্ধুত্ব ও আস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজো ভারত-বাংলাদেশ সম্মিলিত হয়ে, কাঁধে কাঁধ রেখে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য অব্যাহত কাজ করে যাচ্ছে। এই সম্পর্ক চিরকালীন। আর সংগ্রাম ও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিবাদ, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক আচরণ ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে।’

গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের প্রথিতযশা এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন হাজার বছরের। অন্যের দ্বারা শাসিত বাঙালি মুক্তির আকাক্সক্ষায় লড়াই করেছে বহুবার, কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। কৃষি অর্থনীতি নির্ভর এ সমাজের আমূল পরিবর্তন ও সংস্কারের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালির জন্য স্বাধীন ভূখণ্ড ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। তিনি গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালি সত্যিকার অর্থেই প্রস্তুতি রেখেছে জনযুদ্ধের। সম্মিলিতভাবে শত্রু মোকাবেলার সকল মানসিক প্রস্তুতি গণমানুষের ছিল। তবু বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হোক। পাকিস্তান বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামকে যৌক্তিকভাবে মেনে নিক। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক সরকার গণতান্ত্রিক পথে না হেঁটে অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগ করতে চাইলেন। ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালির ওপর নির্লজ্জভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। হত্যা করলো বহুজনকে।’

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় ভিসি আরও বলেন, সেই কঠিন দুঃসময় ও দুর্দিনে পৃথিবীর আরো বহু রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে আমাদের পাশে অকৃত্রিম বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, আশ্রয় ও দায়িত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়ালো আমাদের বহু পরীক্ষিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের লড়াইয়ে ভারত এক অকৃত্রিম বন্ধু। কোটি শরণার্থীকে শুধু আশ্রয় দেয়াই নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণদান, মিত্রবাহিনী গঠন, যৌথভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক লড়াই, বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়, অর্থনৈতিক সহায়তা, কোটি শরণার্থীকে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালনসহ বাঙালির পাশে সেদিন ভারত নিবিড় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা, আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইদুর রহমান সজল প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ