Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উখিয়ায় পাহাড় কাটার মহোউৎসব

মাটি-বালুসহ ডাম্পার জব্দ

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

উখিয়ার থাইংখালিতে ৫০টি স্পটে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৭টি পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বালু খেকো সিন্ডিকেট। সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকোরা ওই এলাকায় সশস্ত্র পাহারা এবং সিসি ক্যামেরা বসিয়ে একের পর এক সরকারি পাহাড় কেটে বালু ও মাটি বিক্রির জন্য স্তুপ করছিল। বালু ইজারার নামে একের পর এক পাহাড় গিলে খাচ্ছে তারা। এতে পরিবেশ বিপর্যয়সহ পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
উখিয়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, বালু ইজারাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি সংরক্ষিত পাহাড়ের মাটি কর্তন করছে। অভিযান চালিয়ে বালু ও মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা ইজারা বা লিজ নেওয়ার কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ। উখিয়ার পালংখালীর থাইনখালী ও মুছারখোলা বনবীট এলাকায় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ। এ সময় স্তুপকৃত বালু, মাটি ও একটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তবে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত কেউ আটক হয়নি বলে জানা গেছে। গত শনিবার বন বিভাগের এক অভিযানে ওই বিপুল পরিমাণ বালু ও মাটি জব্ধ করে উখিয়া বন বিভাগ।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধে গত শনিবার অভিযান চালানো হয়েছে। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগেও পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া বন কর্মকর্তা গাজি শফিউল আলম বলেন, পাহাড়কাটার পয়েন্টগুলোতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। এরকম ১০টি পয়েন্টে পাওয়া গেছে পাহাড় কাটা কয়েক কোটি টাকার মাটি ও বালু। কতটি পাহাড় কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন চিহ্ন না থাকায় সঠিকভাবে বলা মুশকিল। পাহাড়ের কাটা মাটিতে লবণ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। লবণ মিশানো মাটি এবং বালু অন্যত্র ব্যবহার করা যায় না। একারণেই তা করা হয়েছে। পাহাড় কাটায় নিয়োজিত লোকজনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলাও করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা সবাই পাহাড় নিধনের ঘটনায় জড়িত স্থানীয় লোকজন।
বন কর্মকর্তা আরো বলেন, সংঘবদ্ধ এসব ব্যক্তিগণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়ে এবং সিসি ক্যামেরার সাহায্যে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার লোকজনের গতিবিধি নজরে রেখে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পাহাড় খেকোদের পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি পাহাড় খেকো সিণ্ডিকেটের জোরালো আইনী ব্যবস্থা নেয়া হউক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ