পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরবে জাপা
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন বিষয়ে বিএনপির পর আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করবে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সাথে। বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশিদসহ ৮জন এমপি এবং দলের ৯জন সিনিয়র নেতাসহ মোট ১৭জনের একটি তালিকা বঙ্গভবনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। নেতৃবৃন্দ বিকাল তিনটায় কাকরাইল দলীয় কার্যালয়ে যাবেন। তারপর সেখান থেকে চারটার সময় বঙ্গভবনে যাবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট এর সাথে বৈঠকে ৫ দফাসহ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও তাদের নিজস্ব বাজেট প্রনয়নের ক্ষমতা, নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীন থাকে সেজন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তাদের নিয়োগের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে দেয়া, ইউনিয়ন-উপজেলা এবং সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিয়োগের একক ক্ষমতা তাদের হাতে দেয়া, সমন্বয়ের মধ্যদিয়ে ইসিকে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়াসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরবে দলের নেতারা। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে পাঁচদফা প্রস্তাবনাগুলো হলো- সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন, সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখা, নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয়, যা বর্তমান সংসদেই এ আইন পাস করার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনারদের বিষয়ে নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, নুন্যতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়তা না থাকা, অন্য অফিসে নিয়োগে বিধি নিষেধ ও চারিত্রিক স্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি সবসময়ই গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন আশা করে। আমাদের দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নয় বছর দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা যে প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবো আমরা বিশ্বাস করি এ প্রস্তাবনাগুলো গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালি হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণতন্ত্রে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনই আমাদের মূল চাহিদা। দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট এর আমন্ত্রণে আমরা বঙ্গভবনে যাচ্ছি। আমরা আশা করি আমাদের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে সুচিন্তিত মতামত পেশ করবেন তা দেশ ও গণতন্ত্রে স্বার্থেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।