Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় ভিজিডির কার্ড আটকে রেখে চাল উত্তোলন

মেম্বারের বিরুদ্ধে ১৮ মাস চাল আত্মসাতের অভিযোগ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হত দরিদ্রদের ভিজিডির কার্ড আটকে রেখে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কুশলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর ইয়াকুব শেখের বিরুদ্ধে। ১৮ মাস আগে তাদের নামে কার্ড হলেও সংশ্লিষ্ট মেম্বর তাদের কার্ডগুলো গোপন করে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। পরে চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলে বিষয়টি কার্ডধারীরা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. ইমরুল কায়েসকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার পর তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্তে যান। কার্ডধারী পারভীন বেগম, রহিমা বেগম, বাসনা বেগম ও পাকিজা বেগম বলেন- দুইবছর আগে আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বর ইয়াকুব শেখ আমাদের কাছ থেকে ছবি ভোটার আইডি এবং মোবাইল নাম্বার নেয় এরপর আর কিছুই জানায়নি এবং আমরা কোন চাল পাইনি, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা জানতে পারি যে আমাদের নামে ভিজিডির কার্ড হয়েছে কিন্তু মেম্বর আমাদের কার্ডগুলো গোপন রেখে ১৮ মাসের চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। আমরা চারজন ছাড়াও আরও অনেক লোকের কার্ড আটকে রেখে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে ইয়াকুব মেম্বর। এঘটনায় আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। অফিসাররা এসে তদন্ত করে গিয়াছে।
কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী সুলতান মাহামুদ কালু বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করার পরে যখন কার্ডের চাল বিতরণ করতে গিয়েছি তখন দেখি অনেক কার্ডধারীর নাম তালিকায় আছে কিন্তু তাদের কাছে কার্ড নেই, তারা ১৮ মাস পর্যন্ত কোন চাল পায়নি কারণ মেম্বর তাদের কার্ডগুলো আটকে রেখে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. ইমরুল কায়েস বলেন- তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন অভিযোগের বিষয়, কমিটি তদন্ত সম্পন্ন করেছে, এখন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ