Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে সাংস্কৃতিক জোটের বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১৮ পিএম | আপডেট : ৬:৩৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

‘সম্প্রতির বাংলাদেশ; সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ’ স্লোগানে শনিবার বিকালে ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসব উদ্বোধন করেন। বিজয়ের ৫১ উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সাথে ৫১ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ৫১টি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবনী সংগীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশন করেন শিল্পী।

উদ্বোধনকালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যশোর এক গৌরবময় উজ্জল জেলা। এ জেলার ভূমিকা ইতিহাস সমৃদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা বিরোধীতা করেছিলো সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও শকুনের চক্ষু দিয়ে এদেশের স্বাধীনতার ধংস করার জন্য নানা প্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবন্ধ হতে হবে। শপথ নিতে হবে সকল প্রকার চক্রান্ত এবং ঐ সান্ত্রদায়িক শক্তি বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে লড়াই করার। আজকের এই চমৎকার দিনে আমি আশা করি স্বাধীনতার পক্ষে কোন আপোশ করবো না। যশোরের সাংস্কৃতিক জোট স্বাধীনতার পক্ষে যে চমৎকার ভূমিকা নেয়; সেটা প্রশংসিত। যশোরের যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ইতিহাস তারা যে ধারণ করে যাচ্ছে সেটা আসলেই নতুন প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌচ্ছে যাচ্ছে বারংবার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযুদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, ডেপুটি প্রধান রবিউল আলম, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, প্রেস ক্লাব যশোরের সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস প্রমুখ।

এর পর যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন। একের পর এক দলীয় ও একক গান ও নৃত্যের মুদ্রায় মুগ্ধতা ছুঁয়ে দেয় দর্শকদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ