বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার : সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন ও মাদকপাচার বন্ধে বান্দরবান-মায়ানমার সীমান্ত এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ অভিযান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবানের থানছি আলীকদম সীমান্তে এই অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের প্রায় আড়াইশ সদস্য। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযানে। বান্দরবানের সেনাবাহিনীর রিজিয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফকরুল আহসান জানিয়েছেন, মায়ানমার সীমান্তের সাংঙ্গু মাতামুহুরির সংরক্ষিত গভীর বনাঞ্চলে দেশী-বিদেশী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ও মাদক চাষ বন্ধ করতেই এই অভিযানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। সীমান্তে টানা ১০দিন পর্যন্ত চলবে এই যৌথ অভিযান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের সাংঙ্গু মাতামুহুরির সংরক্ষিত গভীর বনাঞ্চলের মায়ানমার সীমান্তে পাহাড়ি ঝিড়ি ঝর্ণার পাশে ছোট ছোট বাগানে স্থানীয় আদিবাসীরা আফিম (পপি) চাষ করে থাকে। লাভজনক হওয়ায় ও পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে আফিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গভীর বনাঞ্চলে প্রতিবছরই এসব পপি চাষ করছে স্থানীয়রা।
এছাড়া সীমান্ত পথে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো অস্ত্র বেচাকেনা করে থাকে এমন খবরও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
এবারও গভীর অরণ্যে নিষিদ্ধ মাদক চাষ হয়েছে এমন খবরে সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। ১৪টি ভাগে ভাগ হয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে অংশ নিয়েছে। বুধবার বান্দরবান সদর, আলীকদম, বলিপাড়া, রুমা ব্যাটালিয়নগুলো থেকে হেলিকপ্টারে করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্তে তল্লাশি চালাবে। তবে গত কয়েক বছর ধরে সীমান্তে যৌথ বাহিনীর টানা অভিযান হওয়ায় সীমান্তে মাদক চাষ ও চোরাচালান অনেকাংশে কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।