রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হরিরামপুর থানা পুলিশের ২ সদস্য ও ২ জন সোর্সের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক পদ্মা নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর থানার কাজের লোক মাসুম এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় দুই শিক্ষার্থীকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আন্ধারমানিক গ্রামের প্রবাসী আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৪) এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫) প্রতিবাদ করলে মাসুদ ও মামুন মারধর করে এবং ফোন করে পুলিশের ২ সদস্য আব্দুল জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনে। এসময় ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সদস্য জব্বার শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিনকে লাথি কিল ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং বাঁশ দিয়ে বেধরক মারধর করে। এছাড়া পুলিশের অপর সদস্য লতিফ শিক্ষার্থী ফয়সালকে মারধর করে। এরপর নিজাম ও ফয়সালকে হাতকড়া লাগিয়ে টেনে হিঁচড়ে থানায় নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নিজাম উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হলে মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় নিজামকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা আংশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রামকৃষ্ণপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হক বলেন, আন্ধারমানিক পদ্মাপাড়ে থানার কাজের ছেলে মাসুম এবং সোর্স মামুন ২ জন ছাত্রকে মারধর করে। পরে পুলিশ সদস্য জব্বারসহ দুজন পুলিশ এসেও তারা নিজাম ও ফয়সাল নামে দুই ছাত্রকে মারধর করে। প্রত্যক্ষদর্শী জয়নালের স্ত্রী বলেন, ‘এলাকার দুইডা ভাল পোলারে গাঁজা দিয়ে পুলিশে দিতে চায় মাসুদ ও মামুন। ওই দুই পোলা নিজাম ও ফয়সাল প্রতিবাদ করলে পুলিশ আইসা নিজাম ও ফয়সালরে মারছে। নিজামরে মাইরা জিব্বা বাইর করইা ফালাইছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মুছা জানান, আহত নিজাম নামের এক যুবক হাসপাতালে আসে। মাত্রাতিরিক্ত আঘাতের ফলে তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। ফলে তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসে জানান, ২ পুলিশ সদস্য দু’জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম বার বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।