বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রংপুর-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, যাত্রী সংকটের কারণে তারা বাস ছাড়ছেন না। এদিকে হঠাৎ করেই এমন অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সকালে সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। কাউন্টারগুলো ফাঁকা, অলস সময় পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কিছু যাত্রীর আনাগোনা থাকলেও অন্যান্য দিনের মতো তেমন চাপ নেই কাউন্টারগুলোতে।
মালিক-শ্রমিকদের দাবি, কোনো ধর্মঘট নয়, যাত্রী সংকটের কারণে বাস ছাড়ছেন না তারা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। এর প্রভাব পরিবহন সেক্টরে পড়েছে।
হানিফ পরিবহনের স্টাফ লিংকন রহমান বলেন, গতকাল রাতেও আমাদের বেশ কিছু বাস রংপুর ছেড়ে গেছে। আজ সকালেও দুটি বাস ছেড়ে গেছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে যাত্রী সংকট রয়েছে। এ কারণে বেশির ভাগ পরিবহন মালিক কম যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়তে রাজি হচ্ছে না।
রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস না ছাড়ায় কাউন্টারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রয়েছে। ওই কর্মসূচিকে ঘিরেই দুদিন আগ থেকেই উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপ্পন বলেন, বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যাত্রীরা ভয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন না। এ কারণে অনেকেই বাস ছাড়ছেন না। এটিকে বাস ধর্মঘট বলা যাবে না, যাত্রী উপস্থিতি বাড়লেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।