প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বলিউড অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পরেশ রাওয়াল। তার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সিপিআই নেতা মো. সলিম তালতলা থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতার তালতলা থানায় পরেশ রাওয়ালকে হাজির হতে বলেছে পুলিশ।
কয়েক দিন আগে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির হয়ে ভালসাদে গিয়েছিলেন পরেশ। সেখানে বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মন্তব্য করেন ‘হেরা ফেরি’খ্যাত এই অভিনেতা। গুজরাটের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দেশ গুজরাটের টুইটারে পরেশের বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে তাকে বলতে শোনা যায়—‘গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়লে তা আবারো সস্তা হয়ে যাবে, যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে তা কমে যাবে। মানুষ চাকরিও পাবে। কিন্তু রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা যদি আপনার আশেপাশে থাকতে শুরু করেন, তাহলে? কখনো কখনো গুজরাটের মানুষ মুদ্রাস্ফীতির জ্বালা সহ্য করতে পারেন। কিন্তু এটা সহ্য করতে পারেন না। যেভাবে রোহিঙ্গারা কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করে, তাতে ওদের মধ্যে একজন ব্যক্তির মুখে ডায়াপার পরা উচিত।’
তারপর বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন আমদাবাদ পূর্বের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? প্রথমে বাঙালিদের (রোহিঙ্গা) জন্য মাছ ভাজবেন?’ এ মন্তব্যের জেরে পরেশকে আক্রমণ করেছেন বাংলা পক্ষের নেতা কৌশিক মাইতি। তিনি বলেন, ‘শিল্প ও শিল্পীর নাকি ভাষা হয় না। কিন্তু ওদের এত বাঙালি বিদ্বেষ কেন? বাঙালিকে দেশজুড়ে টার্গেট করছে বিজেপি?
এরপর বিষয়টি নিয়ে সরব হয় নেটিজেনদের একাংশ। যদিও এই মন্তব্য আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরওয়ালের উদ্দেশ্যে করেছিলেন পরেশ। কিন্তু তা বাঙালিদের গায়ে লেগে যায়। নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকের মতে, এই মন্তব্য করে বাঙালিদের অপমান করেছেন।’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন পরেশ।
জনরোষে পড়ে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে টুইটও করেছেন পরেশ। এক টুইটে তিনি বলেন—‘মাছ নিয়ে আলাদা করে বলা ঠিক হয়নি। গুজরাটের মানুষও মাছ খান। বাঙালি বলতে আমি কী বুঝিয়েছি, সেটা স্পষ্ট করি এবার। আমি শুধু বেআইনিভাবে গেঁড়ে বসা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের কথাই বলতে চেয়েছি। কারো অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এজন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।