বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা বলেছেন, কুরআন নাজিল হয়েছে আমল করার জন্য, শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয়। তিনি বলেন, আল কুরআন হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার কালাম। এই কুরআনে কোথাও কোন গরমিল নেই। রসুল সঃ এর উপর কুরআন নাজিলের সময় থেকে এই পর্যন্ত অনেকেই চ্যালেন্জ করতে চেয়েছে। কুরআনের মত একটি আয়াতও কারো পক্ষে রচনা করা সম্ভব হয়নি। কেয়ামত পর্যন্ত কারো পক্ষে তা সম্ভব হবেও না। কক্সবাজার রহমানিয়া মাদরাসাও এতিম খানার বার্ষিক মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন কিছু চুনোপুঁটি অজ্ঞতার কারণে কুরআনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওউল্টাপাল্টা কথা বলে নিজেদের অজ্ঞতারপরিচয় দিচ্ছে। আফসোস হয় তাদের জন্য।
ওবায়দুল্লাহ হামজা বলেন, এই কুরআন নাজিলের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা। মানুষের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবনের সর্বত্র কুরআন এর নির্দেশ অনুায়ী পরিচালনার মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি নিহত। কুরআনের পথই শান্তির পথ, মুক্তির পথ তথা ছেরাতুল মুস্তাকিম। কুরআন তেলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা। আর কুরআনের নির্দেশ মেনে চলা মানে আল্লাহর সন্ততুষ্টি অর্জন করা। শুধু তেলাওয়াতের জন্য কুরআন নাজিল হয়নি।
তিনি বলেন, দেশের মসজিদ, মাদরাসা ও হেফজ খানাগুলোতে কুরআনের ছহিহ তেলাওয়াত ও কুরআনের আমল শেখানোর কাজ চলে। দ্বীন দরদী মুসলমানদের এই প্রতিষ্ঠানগুলো লালন করা দরকার।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাদ এশা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কক্সবাজার রহমানিয়া মাদরাসাও এতিম খানার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনায় আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা এইকথা বলেন।
মাহফিলে প্রধান মেহমান ছিলেন, ঢাকা বসুন্ধরা ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক মুফতি আরশর রহমানী।
সভায় মুফতি নোমান কাসেমী বলেন, যারা শ্লোগান দেয় 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' তারাই আজ ক্ষমতার জন্য দেশের নিরপরাধ মানুষ হত্যা করছে। তিনি বলেন, পরকালীন শান্তির জন্য দুনিয়ায় ভালো আমল করতে হবে।
আলোচনায় টেকনাফ জামেয়া ইসলামিয়ার পরিচালক মুফতি কেফায়তুল্লাহ শফিক বলেন, খাঁটি মুসলমান হতে হলে আল্লাহ ও রসুলের বালোবাসা থাকতে হবে। এই ভালোবাসা মুখে দেখালে হবেনা। জীবনের সব ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহ মতে আমল করালেই হবে আল্লাহ ও রসুলের ভালোবাসার প্রমাণ।
বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মুফতি নোমান কাসেমী ও মাওলানা মিজানুর রহমান বোখারী। উপস্থিত ছিলেন,হৃীলা দারুস সুন্না মাদরাসার পরিচালক আবছার উদ্দিন চৌধুরী।
মাদরাসার নির্বাহী মুহতামিম মুফতি সোলায়মান কাসেমীর সার্বিক পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সভাপতি আনিসুল কবির।
মুফতি সোলািমান কাসেমী বলেন, এই মাদরাসা ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার অনুসরণে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি মাহফিলে উপস্থিত হয়ে মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নে অংশ গ্রহণকরার জন্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মাহফিলে বিপুল সংখ্যক আলেম ওলামা ও দ্বীন দরদী জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।