বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ছুরিকাহত শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিম মারা গেছেন। ১০ দিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক প্রিন্সিপাল ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।
বাকবিতন্ডার জেরে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনের লিংক রোডে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৬) ফাহিম মেডিকেলের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি ঢাকার সবুজবাগ এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করে ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ বেপারীর (৫৫) ছেলে শাকিল বেপারি (২৫)।
এ ঘটনার পরপরই শাকিল পালিয়ে গেলেও তার বাবা ফরিদকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরদিন সোনাতলা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শাকিলকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বাবা-ছেলেকে আদালতে পাঠানো হয়।
মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শজিমেক হাসপাতালের সামনের লিংক রোডে ফুটপাতে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন ফরিদ বেপারী এবং তার ছেলে শাকিল।
তাদের কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন ফাহিম। ঝালমুড়ি খেতে ভালো না লাগায় বিক্রেতার সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। তিনি ঝালমুড়ির প্যাকেট দিয়ে বিক্রেতা ফরিদের মাথায় আঘাত করেন। এসময় ফরিদের পাশে থাকা তার ছেলে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে পেঁয়াজ কাটা ছুরি দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে তার বন্ধুরা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফরিদ বেপারীকে আটক করে।
এদিকে, এ ঘটনার পর রাত নয়টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা৷ আসামি গ্রেফতারের আশ্বাসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
প্রিন্সিপাল ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, "২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিক পর্যন্ত ফাহিমকে শজিমেকেই চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ২৮ তারিখে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে এভারকেয়ার হাসপাতালে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফাহিম এক্সপায়ার (মারা যাওয়া) করেছে।"
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।