Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২০ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

নওগাঁ’র আত্রাই উপজেলার শ্রীধর গুড়নই গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার ২০ দিন পর আত্রাই নদীতে বিশেষভাবে পুঁতে রাখা অবস্থায় মাদরাসা ছাত্র ৬ বছর বয়সের শিশু ইব্রাহীমের লাশ উদ্ধার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। সেই সাথে শিশুটিকেত হত্যার দায়ে ঐ গ্রামের আব্দুল জলিল সোনারের ছেলে বুলবুল সোনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নওগাঁ’র পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের নেতৃত্বে নওগাঁ জেলা পুলিশের একটি চৌকস টীম গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এলাকার লোকজনদের সাথে নিয়ে নদী থেকে ইব্রাহীমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পুলিশ সুপারের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রদান করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন শ্রীধর গুড়নই গ্রামের জনৈক হযরত আলীর ছেলে ৬ বছর বয়সের মাদরাসা ছাত্র ইব্রাহীম নিখোঁজ হয়। অনেক খুজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরদিন ১১ নভেম্বর আত্রাই থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। জিডি’র সুত্র ধরে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে ২৬ নভেম্বর রাত ১০টায় ইব্রাহীমের পিতার মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ছাড়াও একটি সীমকার্ডসহ নতুন মোবাইল সেট জনৈক বাবুর দোকানের সামনে চুলার ভেতরে রেখে আসতে বলে। এসব বিশ্লেষণ করে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত মহয় যে এসব কাজ ঐ গ্রামের আব্দুল জলিল সোনারের ছেলে মুদি দোকানদার বুলবুল সোনর করছে। নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ ২৭ নভেম্বর বুলবুলকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বুলবুল সোনারের জবানবন্দীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন শিশুটিকে হত্যা করে প্রথমে ছাইয়ের স্তুপে রাখা হয়। পরবর্তীতে ১৭/১৮ নভেম্বর সেখান থেকে শিশুটির লাশ বালতিতে করে নদীর মধ্যে পুতে রাখা হয় এবং সিমেন্টের সø্যাব দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়।
এ ব্যপারে গতকাল নওগাঁ’র পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রদন করেছেন। রিমান্ডে থাকা আসামি বুলবুল পুলিশকে বলেছে বহু ঋন থাকার কারণে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সে এই কাজ করেছে। এ ব্যপারে রিমান্ডে থাকা বুলবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ