Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সালথায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশের গুলি, বিএনপির ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আসামি ২৩ জন অজ্ঞাত ৫০ জন

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১৭ পিএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের সালথা সরকারি কলেজ মাঠের পাশে সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরিত ককটেলসহ নাশকতার কাজে ব্যবহৃরত সরঞ্জাম। তারমধ্যে ৩টি বিস্ফোরিত ককটেল বোমার টিনের কৌটার অংশ, দেশীয় অস্ত্র ১১টি কাতরা, ৪টি স্টিলের পাইপ, ৫টি লোহার রড, ১২টি বাঁশের লাঠি, ১৬ জোড়া স্যান্ডেল, ৪২টি ইটের ভাঙ্গা টুকরা ও ১৯ টুকরা লাল কচটেপের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিস্ফোরণের ঘটনায় সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামের মো. মহিদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পদক মো. নাছির মাতুব্বর (৪৩), আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত তফছির উদ্দীনের ছেলে বিএনপি কর্মী আমিনুল ইসলাম (৩৮) ও পাশের কিত্তা গ্রামের মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৪)।
স্থানীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সালথা কলেজ মাঠের পাশে হঠাৎ করে পরাপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়। তখন পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তারা দেখেনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার বিকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুঁটে গেলে তাদেরকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে আমাদের দুই এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ শর্টগানের ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতমানা ৪০-৫০ জনের নামে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ