বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় ২ পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল হোসেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হল, আব্দুর রশিদ মালিথা তপন, মিলন, কামাল, বিপ্লব, শেখ শাহাদাৎ হোসেন রাজু, আসাদুজ্জামান টিপু, একরাম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিল্টন। এ মামলার এক আসামি মারা গেছেন এবং ৪ আসামি বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১১ মার্চ পুলিশ সদস্য শরীফুল, রমেশচন্দ্র, নিজাম উদ্দিন ও মনিরুজ্জামান নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা রমেশ চন্দ্রের কাছে থাকা শর্টগান ও ৭ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে শরীফুল ও রমেশচন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এস আই অরবিন্দু বিশ্বাস আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ দেড়যুগ পর গতকাল আলোচিত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ মামলার ৯ আসামির মধ্যে রিয়াজুল হক মাসুদ নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। শেখ শাহাদাৎ হোসেন রাজু কারাগারে, রফিকুল ইসলাম মিল্টন, আসাদুজ্জামান টিপু ও মিলন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া একরাম হোসেন, কামাল, বিপ্লব ও আব্দুর রশিদ মালিথা তপন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।