পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫টি বাড়ী ভাংচুর অগ্নিসংযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : রায়পুরার নিলক্ষার চরে আবারো ১৪৪ ধারা ভঙ্গ হয়েছে। গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই লাঠিয়াল বাহিনী রাজিব ও হক চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বরের পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গের এটা দ্বিতীয় ঘটনা। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষে কমবেশী ১০ ব্যক্তি আহত হয়ছে। বীরগাও গ্রামের ৩টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেছে লাঠিয়ালরা। ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে ২টি বাড়ী। আহতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তাদেরকে নবীনগর ও ভৈরবের বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ও রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ূন কবির পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত ১২ থেকে ১৪ নভেম্বর নিলক্ষার চরের কয়েকটি গ্রামে ৩ দিনব্যাপী সংঘটিত রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় মামুন, মানিক, খোকন ও শাহজাহান নামে ৪ ব্যক্তি নিহত হয়। এ ৪ হত্যাকা-ের মধ্যে মামুন, মানিক ও খোকন নামে নিহত ৩ ব্যক্তি খুনের ব্যাপারে রায়পুরা থানায় আজো কোন মামলা রুজু হয়নি। নিহত শাহজাহান খুনের ঘটনায় তার আত্মীয়-স্বজনকে ভয় ও লোভ দেখিয়ে পাল্টা মামলা করেছে রাজিবের সমর্থকরা।
এ মামলায় আসামী করা হয়েছে রাজিবের পারিবারিক কয়েকজন বিরোধীকে। নিহত ৩ ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে নরসিংদী জুডিসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত ঘটনা সমূহ তদন্ত করে মামলা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলেও থানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ মাসাধিক কালেও মামলা রুজু করেননি। ৩ দিনের অব্যাহত দাঙ্গা এবং সম্ভাব্য দাঙ্গার আশংকায় গত ১৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের লিখিত অনুরোধে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান নিলক্ষার চরে কয়েকটি গ্রামে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
এই দাঙ্গার পর নিলক্ষার লাঠিয়াল সর্দার ছোমেদ আলী ও রাজিব এখনও পুলিশের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে। ছোমেদ আলী স্থানীয় ভেড়ারচরে আশ্রয় নিয়েছে। অপর লাঠিয়াল নেতা রাজিব ঢাকায় আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় থাকেন। মাঝে মধ্যে তিনি এই নেতার সাথে নরসিংদী ও রায়পুরা সফর করে আবার ঢাকায় চলে যান। রহস্যজনক কারণে পুলিশ আওয়ামী লীগের এই দুই লাঠিয়াল সর্দার সুমেদ আলী ও রাজিবকে গ্রেফতার করছে না।
রোববার রাজিবের বাহিনী বীরগাও গ্রামে এলোপাতাড়ি বোমা ফাটাতে থাকলে এলাকায় ব্যাপক ত্রাসের সঞ্চার হয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ীঘরে হামলা করলে হক চেয়ারম্যানের লোকজন খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে তাদেরকে তাড়া করে। এতে উভয় পক্ষে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দাঙ্গা দমনে চেষ্টা চালায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।