Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশ পূত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় সিলেটে বরখাস্ত হলেন তিন কনেস্টবল

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৩৭ পিএম

সিলেটে এক কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যকে। এরা তিনজনই কর্মরত ছিলেন কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) পুলিশ লাইনে। বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)।

পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের পূত্র সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা তিনি। গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি জানান তার বাবাকেও । খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে বেরিয়ে আসে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি। এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন ওঠছে, এ তিন পুলিশ সদস্যের কাছে ইয়াবা কোথা থেকে এলো। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হবে কিনা। এ প্রসঙ্গে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস বলেন, ‘পুলিশ লাইনের এডিসির তদন্তে এ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ নেওয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ