পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয়া পল্টনেই সমাবেশ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে জায়গা আপনারা (সরকার) দিতে চান সেই জায়গায় আমরা কমফোর্টেবল নই, খুব পরিষ্কার কথা। চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা, চতুর্দিকে যাওয়ার রাস্তা নেই। একটা মাত্র গেট, যে গেট দিয়ে এক-দুজন মানুষ ঢুকতে পারে, বেরুতে পারে না। তাই আমরা পরিষ্কার করে আবার বলছি, আপনাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে এই নয়াপল্টনে আমাদেরকে ১০ তারিখ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সমস্ত ব্যবস্থা আপনারা গ্রহণ করুন, ঢাকায় ১০ তারিখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সমস্ত ব্যবস্থা আপনারা করুন। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার আপনাদের দায়িত্ব। তা না হলে সব দায়-দায়িত্ব আপনাদের।
গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পুলিশের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম উনি বলেছেন, যে লিখিত দেন ব্যাংকে কোথায় গোলমাল? আরে সারা ব্যাংকই তো লোপাট। ব্যাংক সব লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছেন, ফোকলা করে দিয়েছেন। এটা আমাদের কথা নয়। যে মিডিয়া তারা কথা বলতে পারে নাম, মুখে তালা দিয়ে রাখে তারা বলছে, যে ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? ওয়াসার এমডিকে নিয়মভঙ্গ করে বেতনভাতা প্রদান এবং যে বেশিরভাগ সময় ‘যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন’ ইত্যাদি নানা উদাহরণ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনি ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে, পুলিশ বাহিনী করছে, অন্যান্য বাহিনীকে ব্যবহার করছে, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আমরা একমাস আগে আমাদের পার্টির তরফ থেকে ঢাকা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি যে, আমরা নয়াপল্টনের সামনেই আমরা বিভাগীয় সমাবেশটা করতে চাই। আমরা যে চিঠি দিয়েছে এটা ঢাকা বিভাগের সমাবেশ। এটা কোনো জাতীয় সমাবেশ নয়। ঢাকা বিভাগের সমাবেশ করতে আমাদেরকে নয়াপল্টনের এই খানেই জায়গা দেয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেছি। এটা পরিষ্কার কথা। আমরা বার বার বলেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওই সাজিয়ে সাজিয়ে আর মামলা দেবেন না। শেষ রক্ষা কী হয়? আপনারা দেখেছেন সেনশন এসেছে। আবার জনগনের সেনশন যদি আসে তাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। পরিষ্কার কথা গায়েবি মামলা বন্ধ করুন, হামলা বন্ধ করুন, গ্রেপ্তার বন্ধ করুন এবং জনগণের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিন।
ঢাকা বিভাগের সমাবেশ চ্যালেঞ্জ: মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা যে আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার মানুষের কাছে, ঢাকা বিভাগের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যে, ১০ তারিখের সমাবেশকে তাদের সফল করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সমাবেশ সফল হবে। মানুষের কাফেলা এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। হঠাত করে সরকার এত ভীত সন্ত্রস্ত হয়েছে যে তারা বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে বন্ধ করবার জন্য আন্দোলনকে দমন করবার জন্য তারা একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
নয়াপল্টনে অতীতে বিভিন্ন সমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখানে (নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে) বহু সমাবেশ হয়েছে। এখানে জাতীয় সমাবেশ হয়েছে, মহাসমাবেশ হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে সভাপতিত্ব করেছেন। ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ হয়েছে। কোনোদিন কোনো সমস্যা হয়নি।
‘আবারও বলছি, সেইফ এক্সিট নিন’:
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের জনগণের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবার জন্যে, তাদের ভাত, তাদের ভোট, তাদের অধিকারের জন্য আজকে আমরা এই আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনে আপনারা অযথা গত এক মাস ধরে যেভাবে অন্যায়-অত্যাচার-দমনমূলক কাজ করছে সেই কাজগুলো গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়, রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়। আপনাদের জন্যও ভালো নয়। আপনারা পথ খোলা রাখছেন না। আবারও বলছি, সেইফ এক্সিটের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে এদেশের ইতিহাস আপনাদের জানার কথা।’
তিনি বলেন, আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। এখন এটা বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা এখন বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন নয়, এটা শুধু তারেক রহমানের আন্দোলন নয়। এটা সমগ্র জনগনের আন্দোলন, জনগণের মুক্তির আন্দোলন। তারা (জনগণ) গণতন্ত্র ফিরে চায়, ভোটাধিকার ফিরে চায়, মানবাধিকার ফিরে চায়। কী বানিয়েছেন দেশটাকে? আজকের পত্রিকায় এসেছে যে, গত কয়েক মাসের মধ্যে শীতালক্ষা, বুডিগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী নদীতে প্রায় সাড়ে ৩০০ ডেড বডি পাওয়া গেছে। তার মধ্যে প্রায় ডেড বডি হচ্ছে ইনজুরড অর্থাৎ তাদের নিহত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।