Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রদের সামনে শিক্ষককে পিটিয়ে শ্রীঘরে আওয়ামী লীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী এনামুল হককে শ্রেণিকক্ষে মারধরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন দেলোয়ার খান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক এনামুল হককে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর এনামুল হককে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক কাজী এনামুল হক সন্ধ্যায় দেলোয়ার খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাত ১০টায় তাকে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সামনে একটি পুরি সিঙ্গারার দোকান চালান দেলোয়ার খানের মামাতো ভাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে নিয়মিত বাইরের দোকান থেকে পুরি-সিঙ্গারা খেতে নিষেধ করেন শিক্ষক এনামুল হক। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দেলোয়ার খান। গত মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন দেলোয়ার হঠাৎ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক এনামুল হককে এলোপাথাড়ী কিল ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে। এরপর এনামুল হককে নানা হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে অভিযুক্ত দেলোয়ার খানকে গ্রেফতার করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক এনামুল হক জানান, ক্লাসে ঢুকে সব শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেছে। এর চেয়ে মরেও যাওয়াও ভালো ছিল। যদি কোন ভুলও করে থাকি, তাহলে সে আমাকে ডেকে শুনতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে ক্ষমতার দাপড়ে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করলো। আমি তার কঠোর বিচার দাবি করি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করে সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করি। এরপরে আদালত যা করেন, তাই হবো। তবে কোনো শিক্ষকের শরীরে আঘাত দেয়া চরম বাজে কাজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ