Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সিটির সব ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণ হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের সপ্তদশ বোর্ড সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ব্যায়ামাগারসমূহ পরিচালনা নীতিমালা-২০২২ অনুমোদন পাওয়ার পরে তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র তাপস বলেন, আমাদের এখন ৭৫টি ওয়ার্ডে মাত্র ১৭টি শরীরচর্চা কেন্দ্র আছে। আমরা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সাথে একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছি। আমাদের আরও নতুন ৩৬টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে আমাদের মাত্র ৩৫টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র রয়েছে। আমরা সেটাকে বৃদ্ধি করে ৭৫টি ওয়ার্ডেই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সব জায়গায় শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো- প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই জনগণের জন্য ব্যায়ামাগার সেবা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, আমাদের শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কোনো রকম আমাদের কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা সেগুলো পরিচালনা করছি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিকল্পনার আলোকে তরুণ এবং জনগণের কল্যাণে যেন সেগুলো ব্যবহৃত হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করা। এটা আমাদের মূলত কল্যাণমূলক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ। এখান থেকে আমরা খুব বেশি রাজস্ব আয় করতে চাই না। তিনি বলেন, আমাদের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ যেন বিপথে না গিয়ে সুস্থ শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা এ ব্যবস্থা রাখতে চাই। যেন সেই এলাকার তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির জনগোষ্ঠী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে। সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পরিচালন নীতিমালা প্রয়োজন।
তাপস জানান, বিদ্যমান আয়তন, সুবিধাদি ও যন্ত্রপাতি বিবেচনা করে ব্যায়ামাগারগুলোকে ক, খ ও গ তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেজন্য করপোরেশনের সাথে অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা থাকবে। যেসব ব্যয়ামাগারে সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি থাকবে, সেখানকার বাৎসরিক আয়ের ১৫ শতাংশ এবং যেসব ব্যায়ামাগারে করপোরেশনের যন্ত্রপাতি নেই তা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ১০ শতাংশ সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে একাধিক ইজারাদার পাওয়া যাবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ইজারাদারকে ইজারা দেওয়া হবে। তবে যারা ব্যায়ামাগার পরিচালনা করবেন তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এবং প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ