প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অভিনেত্রী-মডেল সারিকার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সারিকা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করেছেন সারিকা-রাহীর বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ২০ লাখ টাকা। বিয়েতে সারিকার মা-বাবা রাহীকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ উপহার হিসেবে বাসার আসবাবপত্র দিয়েছেন। পরবর্তীতে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে সারিকাকে নির্যাতন করেন রাহী। এ অভিযোগে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলাটি করেন তিনি। ইতোমধ্যে রাহীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে সারিকার বড় ভাই ড. আশিকুর রহমান ভিন্ন কথা বলেছেন। তার ভাষ্যমতে, রাহী কখনোই তাদের কাছে যৌতুক চায়নি। রাহীকে তিনি একজন ভদ্র ছেলে হিসেবেই পেয়েছেন। একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমার জানামতে, আমার পরিবার বা আমি রাহীর পরিবারকে কোনো আসবাবপত্র দেইনি। বাবা তার মেয়েকে বিয়ের সময় যতটুকু গয়না দেওয়ার কথা ততোটুকুই দিয়েছে। রাহীর পরিবার থেকে যতটুকু গয়না দেওয়ার কথা ছিল, তারাও তা দিয়েছে। তিনি বলেন, যৌতুক বা কোনো আর্থিক সাহায্য লাগবে কিংবা ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে- এমন কোনো কথা রাহীর মুখে আমরা শুনিনি। সে পরোক্ষভাবেও আমাদের কিছু বলেনি। তার মধ্যে শ্বশুরের স¤পত্তির প্রতি লালসা রয়েছে, এমনটাও দেখিনি। এখন বন্ধ দরজার পেছনে তাদের স্বামী-স্ত্রীর (সারিকা-রাহী) মধ্যে কী হয়েছে, কী কথাবার্তা হয়েছে তা আমি বা কেউই বলতে পারব না। মারধরের প্রসঙ্গে সারিকার বড় ভাই বলেন, শারীরিক নির্যাতনের যে কথা বলা হয়েছে, তার কিছু সত্যতা রয়েছে। বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় রাহী তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারিকার গায়ে হাত তুলেছে। গত সেপ্টেম্বরের ১৫ বা ১৬ তারিখ সারিকা আমার বাসায় এসে দেখায়, রাহী মেজাজ হারিয়ে তাকে আঘাত করেছে। সে সময় সারিকার বাম বাহুতে থেঁতলে যাওয়ার চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে মীমাংসার জন্য আমি তাদেরকে (সারিকা-রাহী) আমার বাসায় আসতে বলি। রাহী জানায়, ছোট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মেজাজ হারিয়ে আঘাতটা করেছিল সে। তবে ইনটেনশনালি আঘাত করেনি। এর জন্য রাহী অনুতপ্ত এবং বারবার ক্ষমাও চায়। আমার বোন রাহীকে ক্ষমা করে দেন। তার ভাষ্য, ওই ঘটনার পরেও মাঝে মাঝে দুই-একটা ক্ষেত্রে রাহী তার মেজাজ হারিয়ে গায়ে হাত তুলেন, এটা সারিকার বক্তব্য। তবে এই ব্যাপারে রাহীর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মাহিম করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সারিকা। সেই সংসারে সেহরিশ আনায়া নামে কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের ছয় বছর পর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাহীর সঙ্গে সংসার পাতেন সারিকা। দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা স¤পন্ন হয়। এক বছর পূর্ণ না হতেই এখন সেই সংসার ভাঙনের মুখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।