বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়াসহ তার পরিবারকে তিন দফায় ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। গত সোমবার ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন ওই সাংবাদিক।
স্থানীয় ও জিডি সুত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক, দৈনিক ভোরের ডাক ও দৈনিক পুনরুত্থান পত্রিকার প্রতিবেদক নজরুল ইসলাম দয়া গত ১৯ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ও ভোরের ডাক পত্রিকা অফিসে ছিলেন। একই তারিখে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈগাড়ী সোনারপাড়া এলাকায় ওই সাংবাদিককে উপস্থিত দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় জায়গা দখলের অভিযোগ করেন কৈগাড়ী গ্রামের রহমতুল্লাহ সোনারের ছেলে আব্দুর রহিম। সাংবাদিকের পিতা আব্দুর রাজ্জাক দলিলমূলে ওই গ্রামে ৯০ শতাংশ জায়গা দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। সেই সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিবাদীরা।
গত শুক্রবার ও শনিবার রাতে ওই গ্রামে দু’দফায় মোকলেস ও ওবায়দুলের দুটি খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক ফোন করে থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়। দু’দফায় ওই সাংবাদিকসহ তার পরিবারকে দোষারোপ করে গ্রামের লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে রহিমসহ তার পরিবার। পদধারী এক নেতার মদদে তারা পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পৃথক ঘটনার সময় সাংবাদিক নজরুল নন্দীগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন। তার পরিবারের লোকজনও বাড়িতে ছিলেন। গত শনিবার রাতে ওই সাংবাদিক বাড়ি ফেরার পথে তার পথরোধ করে বিবাদীরা প্রাণণাশের হুমকি দেয় বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ষড়যন্ত্রকারী দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।