বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ডিসপ্লের জন্যে শহীদ অ্যাড: আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানীর স্বীকার হয়েছে। বিষয়টি প্রথমে কেউ জানতে না পারলেও সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অনেকেই এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। শনিবার সর্বশেষ জানা তথ্য মতে এখনও এই ঘটনার কোনো তথ্য উদঘাটিত হয়নি।
এ ব্যাপারে দেশের একটি দৈনিকের চিত্র সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী হাসান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৮ মিনিটে হঠাৎ স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় তিনি একটি একটি মেয়ের চোখে পানি দেখতে পান। দেখেন কয়েকজন মেয়ে তাকে ঘিরে অন্যের শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সাথে থাকা একজন তাকে বললো কি হলো চলো ভালো করে জানার চেষ্টা করি। কারা এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করেছে তাদের খুঁজে ছবি তোলার চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হন। অপর এক সাংবাদিক রাতে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, “আমি আর কখনো কোনোদিন আমার মেয়েকে স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের ডিসপ্লে’র জন্যে পাঠাবো না” এক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাপক কমেন্টস পরে ওই লেখায়। সবাই বিষয়টি জানতে চায়, কেউ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। আবার কেউ প্রশাসনের ব্যাপক দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করেন।
এটিএন নিউজের পাবনা প্রতিনিধি রিজভী জয় তার ফেসবুকে পোস্ট করেন, “রমনা, টিএসসি এবার পাবনা। ‘বাঙালি তুই কবে মানুষ হবি।’ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ করেছেন পাবনার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
এ বিষয়ে পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না। দেশের এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। সারা দেশে জঙ্গি নিয়ে হৈচৈ হলেও ঘটনাস্থলে কোনো প্রকার সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি কেন, জানতে চেয়ে জেলার আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট প্রশ্ন তোলেন।
মানবাধিকার কর্মী ও পাবনা সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামসুন্নাহার বন্যা বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে শিশু ও নারীরা প্রকাশ্যে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এত বড় আয়োজনে আইন-শৃংখলা সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ঘটনাস্থলে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ থাকলেও কেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, কেউ অভিযোগও করেনি। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই তাঁর কাছে খবরটি আসত। প্রত্যক্ষদর্শীর কথা বলা হলে তিনি বলেন, কেন তারা প্রশাসনকে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানি। তারপরেও তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় অবশ্যই দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।